কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে শামিল হলেন কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মী এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। আর সেই প্রতিবাদের জেরে কর্মসমিতি বা ইসি-র বৈঠকই করা গেল না মঙ্গলবার। উপাচার্য বনাম রেজিস্ট্রার দ্বন্দ্বে শোরগোল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কিছু দিন আগে নিয়ম বহির্ভূত কাজ-সহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায় রেজিস্ট্রারকে সাসপেন্ড করেন। তার প্রেক্ষিতে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীরা। পাশাপাশি সোমবার থেকেই তাঁরা কয়েক দফা দাবি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। উপাচার্যের উপস্থিতিতে কর্মসমিতির বৈঠক ছিল দুপুরে। কিন্তু উপাচার্য-সহ কর্মসমিতির সদস্যেরা ওই বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়েই ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ।
দীর্ঘ ক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয় তাঁদের। এই ঘটনা প্রসঙ্গে উপাচার্যের মন্তব্য, ‘‘শিক্ষাকর্মীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে। তাঁদের আট দফা দাবি কয়েকমাস আগের। তখন তাঁদের সম্মতিসাপেক্ষে একটি কমিটি গড়ে তদন্ত শুরু হয়। সেটা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) হঠাৎ করে যদি সত্যিই তাঁরা কাজ বন্ধ রেখে অবস্থান বিক্ষোভে আন্দোলনে শামিল হন, সেটা সুস্থ এবং স্বাভাবিক বুদ্ধির পরিচয় বলে মনে করি না।’’ উপাচার্যের দাবি, রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুসারে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে আচার্যের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায় একজন উপাচার্যের। তিনি সেই কাজটিই প্রথম থেকে করে আসছেন। পাশাপাশি, তাঁর হুঁশিয়ারি, কেউ কোনও কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘একাডেমিক’ বা প্রশাসনিক কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইলে তার দায় তাঁকেই নিতে হবে। অকারণে সরকারি কাজ বন্ধ রেখে কোনও কর্মচারী অবস্থানে শামিল হয়েছিলেন কি না, সে বিষয়ে প্রতিটি বিভাগ এবং অফিসের কাছে তিনি রিপোর্ট চেয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy