বিনয় তামাং ফাইল চিত্র।
বিধানসভার পর পাহাড়ের তিন দলের নেতাদের নিয়ে কলকাতায় বৈঠক করলেন তৃণমূলের রাজ্যস্তরের নেতারা। শুক্রবার বিকালে কলকাতার বিবাদী বাগ লাগোয়া একটি বিলাসবহুল হোটেলে মলয় ঘটক, অরূপ বিশ্বাসদের সঙ্গে পাহাড়ের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, আলোচনায় উঠে আসা বিষয়বস্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানানো হচ্ছে। তার পরে নেতৃত্বে নির্দেশ মতো আগামী দফার বৈঠক ডাকা হবে। এ দিনের বৈঠকের পরে তৃণমূল নেতৃত্ব আপাতত মনে করছেন, বিমল গুরুং , বিনয় তামাংদের কোনও ভাবে এক মঞ্চে আনা গেলেও অনীত থাপাকে রাজি করানো সহজ হবে না।
পাহাড়ের বিভিন্ন দাবিদাওয়া, উন্নয়নের কাজের বিষয় ছাড়াও আসন্ন পুরভোট এবং জিটিএ ভোট নিয়ে নেতাদের মতামত জানতেই কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়। পুরভোট হওয়ার পরেই রাজ্য জিটিএ বা পঞ্চায়েত ভোটের দিকে এগোবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার রোশন গিরি, পিটি ওলা এবং পাহাড় তৃণমূলের বিনয় তামাং, রোহিত শর্মাদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। শুধুমাত্র প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপার সঙ্গে আরেকটি আলাদা বৈঠক হয়েছে। ভোটের আগে বিভিন্ন প্রকল্পের সমাধান কোন পথে, তা ঘোষণা করে ভোটের ময়দানে নামতে চায় তৃণমূল। আর গত বিধানসভার মতো নিজেদের মধ্যে ভোট কাটাকাটি এড়াতে কোনও সমাধানসূত্রও বার করতে চায় তারা।
তবে সব পক্ষই এ দিনের বৈঠককে পাহাড়ের উন্নয়নের বৈঠক করে দাবি করেছেন। বিনয় তামাং বলেন, ‘‘শিক্ষক নিয়োগ থেকে সরকারি কর্মীদের বিষয়ের মতো পাহাড়ের নানা সমস্যা নিয়ে কথা হল। আমাদের সঙ্গে রোশনেরাও ছিলেন। তবে অনীত থাপাদের কথা বলতে পারছি না।’’ রোশনের বক্তব্য, ‘‘আমরা তো তৃণমূলের জোটসঙ্গী। পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হল। আগামীতে আরও হবে। বিনয়েরাও বৈঠকে ছিলেন। আর কারও কথা বলতে পারব না।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, দুই পক্ষ অনীতকে এড়িয়ে গেলেও তিনি তৃণমূল নেত্রীর ‘কাছে’র বলেই পরিচিত। পাহাড়ে সফরে এলে প্রাতঃভ্রমণ বা দেখা করার জন্য একমাত্র ডাক পান অনীত। অনীতের নতুন দল যথেষ্টই শক্তিশালী। তাই তাঁকে বাদ দিয়ে কোনও কিছুই করার পক্ষপাতী নন তৃণমূল নেতৃত্ব। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে তৃণমূল নেত্রী অনীতের সঙ্গে ভবিষ্যতে আলাদা করে কথা বলতেই পারেন। অনীত এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এর বাইরে আরেকটি নতুন সম্ভাবনা উঠে আসছে। পাহাড় তৃণমূল এবং বিমল গুরুং একসঙ্গে আগামী ভোটগুলিতে লড়তে পারে। আর অনীত একেবারেই আলাদা। কিন্তু দলের একাংশের দাবি, পুরসভা, পঞ্চায়েত বা জিটিএ, যে ভোটই হোক না কেন, এমন হলে লাভ আখেরে বিজেপি বা জিএনএলএফের ঘরেই ঢুকবে। তা অনীতও বুঝতে পারছেন। সেই জায়গা থেতকে নতুন কোনও ‘বোঝাপড়া’র কৌশল বার করে পাহাড়ে ভোটে নামবে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy