—প্রতীকী ছবি।
ডাকাতি রুখতে গিয়ে খুন হলেন সিভিক ভলান্টিয়ার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। মালদহের চাঁচোল থানার মালতিপুরে। স্থানীয় সূত্রের খবর, আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে সোনার দোকানে লুঠপাটের ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন দোকানের মালিক গৌতম সেন-সহ চার জন। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় সিভিক ভলেন্টিয়ার মমিনুল হকের। দুষ্কৃতীদের বোমাবাজির জেরে এলাকায় তৈরি হয় আতঙ্ক। বেশ কিছু সময় পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচলের এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী।
পুলিশ সূত্রের খবর, মালতিপুর দুর্গা মন্দিরের পাশে ‘সেন জুয়েলার্স’ নামে ওই দোকানে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ডাকাতেরা হানা দেয়।আট জনের ডাকাতদল চারটি মোটরবাইক নিয়ে ওই সোনার দোকানে সামনে হাজির হয়। ডাকাতি করার আগে প্রথমে কয়েকটি বোমা ফাটায় তারা। গৌতম এবং তাঁর কর্মীরা বাধা দিলে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। গুলিবিদ্ধ হন গৌতম, দোকানের এক কর্মী এবং এক জন ক্রেতা।
এর পর ক্যাশবক্স থেকে নগদ এবং দোকানের সোনা-রুপোর অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতদল। সে সময় কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার কাশিমপুরের বাসিন্দা মমিনুল ডাকাতদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। গুলি করে সেখানেই খুন কর হয় তাঁকে।
ডাকাতদল ঠিক কত টাকা এবং অলঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। ঘটনার খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানায়। খবর পেয়ে চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুন্ডুর পুলিশ নিয়ে পৌঁছন এলাকায়। পূর্ণেন্দু জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। চারিদিকে নাকা চেকিং চলছে। তাঁর দাবি, খুব শীঘ্রই সোনার দোকানে ডাকাতি কাণ্ডে অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হবে। ডাকাতির ঘটনাটি চাউর হতেই প্রচুর মানুষ এলাকায় জড়ো হন।
মালতিপুরে বাসিন্দা তথা কংগ্রেস নেতা আদিত্যনারায়ণ দাস জানান, এই দুঃসাহসিক ঘটনার পর এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত। তিনি বলেন, ‘‘মালতিপুর জনবহুল এলাকা। জনগণের চোখের সামনেই ডাকাতদল বোমা ফাটিয়ে ও গুলি চালিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে ওই সোনার দোকানটি লুটে নিয়ে চম্পট দিল ডাকাতদল। এতে মালতিপুরের দোকান ব্যবসায়ীরা ভীত। এই পরিস্থিতিতে পুলিশি সক্রিয়তা দাবি করছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy