ধস: সাফ করা হচ্ছে পথ।
টানা বৃষ্টিতে ধস নেমে বিপর্যস্ত হয়ে দার্জিলিং পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা। সোমবার রাত থেকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মিরিক মহকুমার। গয়াবাড়ি মিরিকগামী রাজ্য সড়ক এবং পানিঘাটা-দুধিয়া সড়কে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়। মিরিকের বিভিন্ন এলাকার অন্তত ১০ জায়গায় পাহাড় থেকে মাটি, কাদা, পাথর নেমে এসেছে। অন্তত ২০টির উপর বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। সৌরনি থেকেও রাস্তায় ধসের খবর এসেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পংগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ২৯ মাইলে ধস। রাস্তা আপাতত বন্ধ। প্রত্যেক জায়গায় কাজ শুরু করে রাস্তা খোলার চেষ্টা চলছে। আবার ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের তিনধারিয়া, পাঙ্খাবাড়ির রাস্তাও বন্ধ। একমাত্র কার্শিয়াং হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রোহিণী রোড খোলা রয়েছে। গাড়িধূরা, লংভিউ এবং বরবটে এলাকায় জল জমে, মাটি ধসে বাড়ি ঘরের ক্ষতি হয়েছে। সুখিয়াপোখরি এলাকায় একটি সেতুর একপাশ থেকে মাটি সরে গিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সকাল থেকে এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন জিটিএ-র চেয়ারম্যান অনীত থাপা। তিনি বলেন, ‘‘একটানা বৃষ্টিতে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গিয়েছে। প্রাণহানি যাতে না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিভিন্ন এলাকায় ধস সরিয়ে রাস্তা খোলার কাজ চলছে।’’
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আগামী ৭২ ঘণ্টাও পাহাড় ও সমতলের তরাই এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।
এই দফার বৃষ্টি শুরু হয় সোমবার সকাল থেকে। সন্ধ্যার পর তা প্রবল আকার নেয়। দার্জিলিঙে ৫২ মিমি, কালিম্পঙে ৭৪ মিমি এবং শিলিগুড়িতে ১১৫ মিমি বৃষ্টি হয় গত ২৪ ঘণ্টায়। জেলা প্রশাসনের অফিসারেরা জানান, এবার মরসুমে গোড়া থেকে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় অবস্থা খারাপ হয়েছে। সোমবার রাতে মহানন্দা নদীর জলস্তর দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, পাহাড়ের নদী, ঝোরাগুলি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এর পরে পাহাড় থেকে মাটি, কাদা, নুড়ি ও বড় পাথর নেমে আসা শুরু হয়। ভোর থেকেই মিরিক, পানিঘাটা, পাঙ্খাবাড়ি, তিনধারিয়ায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বেলা বাড়তে বৃষ্টি কিছুটা কমতেই রাস্তা খোলার কাজ শুরু হয়।
এর মধ্যে সিকিমকে যুক্তকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ২৯ মাইলের কাছে ধসে বন্ধ হয়ে যায়। এতে শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি কালিম্পং, গ্যাংটকে রাস্তা বন্ধ হয়। রাজ্য পূর্ত দফতরের তরফে কাজে নেমে সন্ধ্যায় আগে কিছুটা রাস্তা খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে দফায় দফায় বৃষ্টিতে কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। নতুন করে পরিস্থিতি খারাপ না হলে এ দিন রাত বা আজ, বুধবারে এই কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে। দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নবল্লম জানান, পাহাড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্লক পর্যায়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লকের দুর্যোগ মোকাবিলা দলকে তৈরি রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy