প্রতীকী ছবি।
মহিলাদের ভোট দেওয়ার প্রবণতা খানিকটা কমেছে জলপাইগুড়ির দুই বিধানসভা কেন্দ্রে। কেন এমন হল, তা জানতে ভোট কেন্দ্র পৌঁছবে জেলা প্রশাসন। কথা বলবে সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে। তাঁরা কেন ভোট দিতে যাননি, সেই খোঁজও নেওয়া হবে। মহিলাদের ভোটদানের প্রবণতার কমার লক্ষণ টের পাওয়া গিয়েছে গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে। অর্থাৎ ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে যত জন মহিলা ভোট দিয়েছিলেন, শতাংশের হিসেবে গত বছর লোকসভা ভোটে ততজন ভোট দেননি। মহিলাদের ভোটদানের শতাংশের এই ফারাক নজরে এসেছে মালবাজার এবং নাগরাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে। সূত্রের খবর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ২ শতাংশের মতো মহিলা ভোট কমেছিল। এ বছর বিধানসভা ভোটের আগে জেলায় মহিলা ভোটারদের উৎসাহিত করতে বিশেষ অভিযানে নামছে জলপাইগুড়ি। বুধবার জলপাইগুড়ির জেলাশাসক দফতরে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।
বৈঠকে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, মহিলা ভোটারদের সঙ্গেই শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী ও যুবক ভোটারদের উৎসাহিত করতে অভিযান হবে জেলার প্রতিটি এলাকায়।
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে নাগরাকাটা আসনে প্রায় ৮৫ শতাংশ মহিলা ভোট দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে এই হার নেমে এসেছে ৮২ শতাংশে। একই ভাবে মালবাজারেও ৩ শতাংশের কাছাকাছি মহিলা ভোটদান কমেছে গত লোকসভায়। অবশ্য এর উল্টো ছবি রয়েছে বলেই দাবি প্রশাসনের। ময়নাগুড়ি এবং ধূপগুড়িতে সামান্য হলেও মহিলাদের ভোটদানের হার বেড়েছে লোকসভায়।
কেন মহিলা ভোটের হার কমল, তা জানতে জেলার সব বিধানসভার ইআরও অর্থাৎ ভোটার নিবন্ধীকরণ আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে প্রশাসন। আধিকারিকদের বলা হয়েছে প্রতি বুথে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে। ভোট কেন্দ্রে যাতায়াতে মহিলা ভোটারদের কোনও সমস্যা আছে কিনা, জানতে বলা হয়েছে। যে দুই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট কমেছে, দুটিই চা বলয়ে। যদিও চা বাগানের বাসিন্দা মহিলাদের ভোটদানের হার মোটামোটি ঠিকই রয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “বিধানসভা ভোটে যত ভোট পড়ে লোকসভায় তার কম পড়ে। এটা সাধারণ প্রবণতা। সে হিসেবে মহিলাদের ভোটও কমে থাকতে পারে। তবে সর্বত্র যে হেতু মহিলা ভোটারদের ভোটদানের শতাংশ কমেনি, তাই ভালভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এবার থেকে প্রতি চোদ্দো দিন অন্তর ভোট নিয়ে জেলা প্রশাসনের বৈঠক রয়েছে। সেখানে ভোটার সচেতনতার রিপোর্ট পেশ হবে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy