ভেঙে পড়েছেন শরৎ। নিজস্ব চিত্র
আত্মীয়-পরিজনে সরগরম বিয়েবাড়ি। সোমবার সকাল থেকেই বৌভাতের প্রস্তুতি চলছিল। দুপুরে নববধূ ও শ্যালিকাকে নিয়ে অদূরে ফুলহার নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন রতুয়ার যুবক শরৎ মণ্ডল। কিছুটা দূরে স্নান করছিলেন শরৎ। আচমকাই তাঁর চোখের সামনে নদীতে তলিয়ে যান নববধূ রূপা মণ্ডল (১৯) ও তাঁর দিদি সোনামণি রায় (২৩)। মালদহের রতুয়ার কাহালা শিবপুর ঘাটের ঘটনা।
ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নামে আসে। ভেস্তে যায় বৌভাতের অনুষ্ঠান। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওঁরা সাঁতার জানতেন না বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কাহালা হাইস্কুল লাগোয়া হরিপুর গোপী এলাকার বাসিন্দা শরৎ একটি মিষ্টির দোকানের কর্মী। মানিকচকের নুরপুরের বাসিন্দা রূপার সঙ্গে রবিবার শরতের বিয়ে হয়। রবিবার বিয়ে করে মাঝরাতেই নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন শরৎ। সঙ্গে এসেছিলেন বধূর দিদি সোনামণি। এ দিন বৌভাতের আয়োজন চলছিল বাড়িতে।
সূত্রের খবর, দুপুরে ফুলহারে স্নান করতে যান তিনজন। রূপা ও সোনামনি যেন দূরে না যান, সে ব্যাপারে পরিজনেরা সতর্কও করেছিলেন। ঘাটের সামনেই তাঁরা দু’জনে স্নান করছিলেন। কিন্তু সেখানে যে গর্ত রয়েছে, তা বুঝতে পারেননি সোনামনি। আচমকা পা হড়কে গর্তে পড়ে যান তিনি। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান রূপা। কিন্তু প্রবল স্রোতে দু’জনেই তলিয়ে যান। ঘণ্টাতিনেক বাদে শিবপুর ঘাট থেকে কিছুটা দূরে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়।
পরে শরৎ বলেন, ‘‘আমার চোখের সামনে দু’জন তলিয়ে গেল। কিছু বোঝার আগেই সব শেষ। কিছুই করতে পারলাম না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy