E-Paper

বিদ্যুদয়ন শুধু নয়, লাইনের গতি বাড়ুক রেলে

একটি ট্রেন উৎস থেকে গন্তব্যে ঠিক ভাবে পৌঁছতে গেলে শুধু আধুনিক ইঞ্জিন এবং বৈদ্যুতিকরণ যথেষ্ট নয়।

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। —ফাইল চিত্র।

উৎপল দত্ত

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ০৯:৩৮
Share
Save

উত্তরবঙ্গে রেলের বৈদ্যুতিকরণের কাজ দীর্ঘদিন আগে শুরু হয়েছিল। তা প্রায় শেষের মুখে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আগামী বছর এ রাজ্যে ভোট। তার আগে যে ভাবে তাঁর বিবৃতি দেখতে পাচ্ছি, তাতে যেন মনে হচ্ছে বৈদ্যুতিকরণের কাজ হয়ে গেলেই উত্তরবঙ্গে ট্রেন চলাচলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। কিন্তু বিষয়টি অত সহজ নয় বলেই মনে হয়েছে। কয়েকটি বিষয় খুব ভাল ভাবে বোঝা দরকার।

একটি ট্রেন উৎস থেকে গন্তব্যে ঠিক ভাবে পৌঁছতে গেলে শুধু আধুনিক ইঞ্জিন এবং বৈদ্যুতিকরণ যথেষ্ট নয়। এর পিছনে আরও নানা বিষয় রয়েছে, যে সবের দিকে যথাযথ ভাবে নজর দেওয়া দরকার। প্রথমেই বলা দরকার, ‘ট্র্যাক স্পিড’ বা লাইনের গতি বাড়ানোর কথা। শতাব্দী, বন্দে ভারতের মতো ট্রেনগুলি এখনও পূর্ণগতিতে চলতে পারে না। যদিও সেগুলি বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাতেই চলে। তা হলে, আধুনিক মানের রেল লাইন আগে বসানো দরকার। শুধু তাই নয়, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ট্রেনের কামরায় আগুন লাগা, যন্ত্রাংশ খুলে যাওয়ার ঘটনাও সামনে আসছে। তা থেকে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবই প্রকট হচ্ছে। টিকিট কাউন্টার কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাত্রী পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্যে নজর দিতে গেলে রেলের সব কোচ ‘এলএইচবি’ মানের করে ফেলা জরুরি।

কিন্তু, এ সব কাজ করতে গেলে যেটা প্রথমেই দরকার, তা হচ্ছে লোকবল। দীর্ঘদিন থেকে রেলের একাধিক শূন্যপদ খালি রয়েছে। ‘ট্র্যাক মেন্টেনেন্স’-এর কাজ ঠিকাদার সংস্থাকে দিয়ে করানো হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে রেল পরিষেবার একটি বড় অংশ মার খাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কবে লাইনের গতি বাড়বে, কবে সব ট্রেনের কামরা আধুনিক মানের করে ফেলা হবে, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা সব জায়গায় কবে যথাযথ ভাবে বসানো হবে? এ সব নিয়েও যদি রেলমন্ত্রীর বক্তব্য পাওয়া যেত, তা হলে যাত্রীদের কাছে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যেত। কিন্তু তার বদলে কংগ্রেস আমলে কত বরাদ্দ হয়েছিল এবং এই আমলে কত টাকা বরাদ্দ হল, সে সব দিকে প্রচারে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে বলে নজরে আসছে।

খুব সহজ করে বলতে গেলে পয়সার মূল্য যেখানে কমছে, সেখানে অন্য কারও সরকার থাকলেও কিন্তু প্রতি বছরই বরাদ্দ একটু করে বাড়ত। এর মধ্যে নতুন কিছু চমক নেই। তা না করে যাত্রীদের নজর অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার একটা চেষ্টা শুরু হয়েছে। এ থেকে অবিলম্বে সচেতন হওয়া দরকার সকলের। এখনও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এলাকায় রেলের একাধিক কাজ বাকি। সেগুলি হচ্ছে না, তা নয়। কিন্তু, তা দ্রুত করার দিকে নজর দিলে আর এই দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবতে হবে না।

প্রাক্তন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার (ইলেকট্রিক্যাল), এনজেপি

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Indian Railways Ashwini Vaishnaw

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।