সোমবার কুনকি হাতি দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে নয়া প্রযুক্তি। — নিজস্ব চিত্র।
রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু আটকাতে এ বার নয়া উদ্যোগ নিল রেল। ডুয়ার্সে রেললাইনে বসানো হল সেন্সর অ্যালার্মিং সিস্টেম যা রেললাইনের ধারেকাছে হাতি পৌঁছলেই বার্তা পাঠাবে নিকটবর্তী স্টেশনে। এই ধরনের প্রযুক্তি রাজ্যে প্রথম বলে রেলের দাবি।
ডুয়ার্সের একাধিক জঙ্গলের বুক চিরে গিয়েছে রেললাইন এবং রাস্তা। রেললাইনের উপর দিয়ে মাঝেমাঝেই পারাপার করে হাতির দল। ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু ঠেকাতে বহু বার রেল এবং বন দফতরের যৌথ বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি, এই ধরনের দুর্ঘটনা আটকাতে একাধিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। যেমন, ডুয়ার্সের জঙ্গলে ট্রেনের গতি কমানো, হাতির করিডরে আন্ডারপাস তৈরি করা ইত্যাদি। কিন্তু, তার পরেও ওই দুর্ঘটনা ঠেকানো যায়নি।
এ বার এই দুর্ঘটনা আটকাতে রাজ্যে প্রথম ডুয়ার্সের রেললাইনে লাগানো হল ‘সেনসিটিভ সেন্সর অ্যালার্মিং সিস্টেম’। ডুয়ার্সের ডায়না রেলব্রিজ থেকে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ভাবে এই যন্ত্র বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে হাতি রেল লাইনের পাশে এলেই বিপদঘণ্টি বাজবে নিকটবর্তী রেলস্টেশনে। হাতি রেললাইনের ধারে এলে বা রেললাইনের উপরে উঠলেও বার্তা পৌঁছবে নিকটবর্তী রেল স্টেশনে। ফলে, রেল জানতে পারবে হাতি কোন জায়গায় রয়েছে এবং সেটা আকারে কত বড়। এর পর স্টেশন কর্তৃপক্ষ সেই তথ্য জানাবেন নিকটবর্তী রেঞ্জ অফিসে।
সোমবার চালু করা হল সেই নয়া প্রযুক্তি। পরীক্ষার জন্য সোমবার গরুমারা থেকে আনা হয় কুনকি হাতি অরণ্যকে। এর পর অরণ্যকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে হাঁটিয়ে যন্ত্রটি পরীক্ষা করে দেখা হয়। এই প্রযুক্তি সফল হলে আগামিদিনে সব হাতির করিডরে তা ব্যবহার করা হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। রেলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা। বন দফতরের অনারারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, ‘‘এটা খুব ভাল উদ্যোগ। বহু আন্দোলনের পর, বহু হাতির মৃত্যুর পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সে জন্য সাধুবাদ জানাই। রেল মন্ত্রক মনে করছে, এর মাধ্যমে হাতির মৃত্যু ঠেকানো যাবে।’’ রেলকে সাহায্যের জন্য বন দফতর এগিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন সীমা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy