—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশে দেড় মাস ধরে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে স্নাতকে ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। তা-ও প্রায় আটশো আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই পরিস্থিতিতে সেই সব ফাঁকা আসন ভরাতে অনলাইনের মাধ্যমে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ভর্তির আবেদন নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, স্নাতক স্তরে সব আসনে পড়ুয়া না মেলার বিষয়টি কিছু দিন আগে রাজ্য শিক্ষা দফতরে জানানো হয়। তার পরে, সরকারি নির্দেশে ফাঁকা আসনে পড়ুয়াদের ভর্তি করতে মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনলাইনে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ভর্তির আবেদন নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। চলতি শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে স্নাতক স্তরে ভর্তি না হওয়ার প্রবণতা সামনে আসায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ বছর উত্তর দিনাজপুরের উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়ার একাংশ পেশাগত কোর্সে ভর্তি হওয়ার দিকে ঝুঁকেছেন কি না, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে সে প্রশ্নও উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক অনুষদের সচিব দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ মিলিয়ে ২৩টি বিষয়ে অনার্স পড়ানো হয়। মোট আসন ২,৪১২টি। রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশে ২৪ জুলাই থেকে ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে পড়ুয়াদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলে। ওই সময়ে ১,৬২২ জন ভর্তি হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত স্নাতক স্তরে নানা বিভাগের সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত মিলিয়ে ৭৯০টি আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। দিব্যেন্দু জানান, এই পরিস্থিতিতে, ‘নাক’ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মাপকাঠির ‘মান’ বজায় রাখতে সব আসনে পড়ুয়াদের ভর্তির জন্য মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্নাতক স্তরে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ভর্তির আবেদন নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ওই কাজ চলবে কাল, শুক্রবার পর্যন্ত। মেধাতালিকা প্রকাশ হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। তার পরেও সব আসনে পড়ুয়া ভর্তি না হলে, দ্বিতীয় দফায় ২৬ সেপ্টেম্বর ফের পড়ুয়াদের কাছ থেকে ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে। মেধাতালিকা অনুযায়ী ওই পর্বে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়ার কাজ শেষ করা হবে। তার পরেও, স্নাতক স্তরে আসন ফাঁকা থেকে গেলে ২৯ সেপ্টেম্বর ফের পড়ুয়াদের কাছ থেকে ভর্তির আবেদন নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। দিব্যেন্দু বলেন, “৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও সব আসনে পড়ুয়া না মিললে, রাজ্য শিক্ষা দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy