Advertisement
E-Paper

আয়াদের নিয়ন্ত্রণে নজরদারি

মেডিক্যালের ভারপ্রাপ্ত সুপার বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, মেডিক্যালের নানা ওয়ার্ডে আয়াদের কাজ করা বেআইনি।

রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ।

রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ। —ফাইল চিত্র।

গৌর আচার্য 

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:১৯
Share
Save

রায়গঞ্জ মেডিক্যালে আয়াদের ভূমিকায় বিশেষ নজরদারি শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক আগে সেখানকার এক আয়া ফার্মাসিতে গিয়ে এক কর্মীর উপরে ‘ছুরি’ নিয়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ। ঘটনার দিন ওই আয়া কোথা থেকে ছুরি পেয়েছিলেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।

মেডিক্যালের ভারপ্রাপ্ত সুপার বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, মেডিক্যালের নানা ওয়ার্ডে আয়াদের কাজ করা বেআইনি। কিন্তু মানবিক কারণে কর্তৃপক্ষ বাধা দেন না। বিদ্যুৎ বলেন, “ফার্মাসির ওই কর্মীর উপরে অস্ত্রোপচারের ‘ছুরি’ নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগে ওই আয়াকে মেডিক্যালে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে।” মেডিক্যালের সহকারী সুপার বিপ্লব হালদার জানান, ফার্মাসির ওই কর্মী অভিযুক্ত আয়ার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। বিপ্লব বলেন, “অভিযুক্ত আয়া ফার্মাসির ওই কর্মীর বা হাতে অপারেশন থিয়েটারের ‘ছুরি’ দিয়ে একাধিক কোপ মারেন। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ওই ঘটনার পরেই অপারেশন থিয়েটার ও লেবার রুমে আয়াদের ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”

মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমানে মেডিক্যালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নজর ক্যামেরা ও সুপারভাইজ়ারদের মাধ্যমে সমস্ত আয়ার গতিবিধি ও তাঁদের ভূমিকার উপরে নজর রাখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নেমে কর্তৃপক্ষের কাছে আয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে মেডিক্যালের কর্মীদের একাংশকে সুদে টাকা ধার দেওয়ার কারবার চালানোর অভিযোগ মিলেছে। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বলেন, “সরকারি জায়গায় ও বিনা লাইসেন্সে সুদে টাকা ধার দেওয়ার ব্যবসা করা বেআইনি। এর আগেও মেডিক্যালে আয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে প্রসূতিদের পরিবারের থেকে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। আয়াদের বেআইনি কাজ না-করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।”

মেডিক্যালের ফার্মাসিস্ট বীরেন রায়ের দাবি, ফার্মাসির ওই কর্মী অভিযুক্তের থেকে টাকা ধার নেন। সে টাকা শোধ করা নিয়ে গোলমালের জেরে ওই কর্মীর উপরে হামলা হয় বলে অভিযোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আয়াদের একাংশদাবি করেন, বেশির ভাগ আয়া নার্সদের নির্দেশ মেনে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার কাজে সহযোগিতা করেন। কোনও আয়া বেআইনি কাজ করে থাকলে, আইন আইনের পথে চলুক।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nanny raiganj

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}