রায়গঞ্জ মেডিক্যালের বহির্বিভাগে রোগীদের ভিড়। ছবি: গৌর আচার্য
আর জি কর-কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি ও তাঁদের নিরাপত্তার দাবিতে রায়গঞ্জ এবং মালদহ মেডিক্যালে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত। ফলে বহির্বিভাগ ও ওয়ার্ডে দুর্ভোগ ও হয়রানি বেড়েই চলেছে।
তবে সোমবার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল চত্বরে জুনিয়র চিকিৎসকেরা অবস্থান-বিক্ষোভ করেননি। মেডিক্যাল সূত্রে খবর, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অনুরোধে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। এ দিনও বহির্বিভাগে রোগীর ভিড় উপচে পড়ে। সিনিয়র চিকিৎসকেরাই বহির্বিভাগে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেন। এই দিনও বহির্বিভাগে ঢিমেতালে রোগীদের দেখা হয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসকদের দেখাতে দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়েন রোগীরা। বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে রোগীর চাপে মেডিক্যালের নানা ওয়ার্ডে চিকিৎসকের একাংশ রোগী দেখতে দেরি করে যান বলেও অভিযোগ। মেডিক্যালের ভারপ্রাপ্ত সুপার বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজ না করায় সব ওয়ার্ডে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে সমস্যা হচ্ছে। সিনিয়র চিকিৎসকের অভাব রয়েছে।”
অন্য দিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে ও আর জি কর-কাণ্ডের কথা মাথায় রেখে মালদহ মেডিক্যালে নিরাপত্তা বাড়ানোর কাজ শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। এ দিন আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের কাছে আন্দোলন প্রত্যাহারের বার্তা দিয়ে মেডিক্যালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন মালদহ মেডিক্যালের সুপার প্রসেনজিৎ বর। তাঁর আশ্বাসের পরেও কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, নিরাপত্তার পাশাপাশি বিশ্রামাগার, শৌচাগারের মতো পরিকাঠামোর উন্নতি করতে হবে। আর জি কর-কাণ্ডের কিনারা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কর্মবিরতিতে দুর্ভোগ বাড়ছে মেডিক্যালে। বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ, জরুরি বিভাগে রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সিনিয়র চিকিৎসকদের। সুপার এ দিন বলেন, “আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। রোগীদের সুষ্ঠু ভাবে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy