—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কয়েকদিন আগেই নেপাল সীমান্তে চোরাকারবার রুখতে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে যৌথ বৈঠক হয়েছে। তার পরেই পানিট্যাঙ্কি সংলগ্ন এলাকায় নেপালে একটি হাতিকে গুলি করে মেরে দাঁত কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জেনেছেন ভারতীয় বন দফতরের আধিকারিকেরা। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত বন দফতর। কারণ, কার্শিয়াং বন বিভাগের কলাবাড়ি বিট এবং সংলগ্ন এলাকায় মেচি নদী পার করে নেপালের মধ্যে এখন যাতায়াত করছে প্রচুর হাতি। এই সময় নেপাল সরকারের বন দফতর যদি চোরাকারবারের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেয়, তা হলে পুরো এলাকায় বন্যপ্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কায় বন আধিকারিকেরাই।
কার্শিয়াং বন বিভাগের বনাধিকারিক দেবেশ পান্ডে বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমাদের এলাকায় নজরদারি যথাযথ থাকলেও মেচি নদী পার করে যখনই নেপালে হাতিগুলি ঢুকছে, তখনই তাদের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, নেপালের বন দফতরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে।’’
কয়েকদিন আগেই শিলিগুড়িতে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে যৌথ বৈঠক হয়েছিল। তাতে ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো, রাজ্য বন দফতর ছাড়াও ‘ডব্লিউডব্লিউএফ’-এর নামী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি ছিল। তাদের তরফে আলোচনায় বেরিয়ে এসেছে, যৌথ ভাবে এই করিডরে বন্যপ্রাণ রক্ষা করতে তথ্য আদান-প্রদান প্রয়োজন। কিন্তু এই তথ্য আদান-প্রদানের ফলেই চোরাকারবারিরা খবর পেয়ে যাচ্ছে না তো? এ প্রশ্নই নতুন করে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। কারণ, নেপালের ভূখণ্ডে যে হাতিটি সম্প্রতি মারা গিয়েছে, তার শরীরে একটি গুলি পাওয়া গিয়েছে বলে এ দেশের বনাধিকারিকেরা জানতে পেরেছেন। অর্থাৎ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শুটার ছাড়া তা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন আধিকারিকেরা। পুরো বিষয়টি নিয়ে নতুন করে নেপাল বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ভারত থেকে নেপালে হাতির নিরাপত্তা তলানিতে চলে যাচ্ছে বলেই অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy