মালদহ থেকে মুর্শিদাবাদের পথে রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার সকালে। নিজস্ব চিত্র।
মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় ভিন্ন ছবি মালদহে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ সুজাপুরের হাতিবাড়ি মাঠ থেকে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার দিকে রওনা দেন রাহুল গান্ধী। তবে তাঁর যাত্রাপথে সুজাপুর, কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগরে রাস্তার দু’ধারে উধাও ভিড়ের ছবি। সুজাপুর, কালিয়াচকের এই ছবিতে লোকসভা ভোটের আগে কিছুটা চিন্তিত নেতা-কর্মীদের একাংশ।
যদিও আবহাওয়ার প্রভাবই জমায়েতে পড়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের। এ দিন সকাল থেকেই পরিবেশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। সকাল ১০টাতেও কুয়াশায় ঢেকেছিল রাস্তাঘাট। কংগ্রেসের জেলার সহ-সভাপতি ইশা খান চৌধুরী বলেন, ‘‘কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশেও সকালে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।’’ যদিও রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য, ‘‘বিধানসভার মতো লোকসভা ভোটেও কালিয়াচকের মানুষ উন্নয়নের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকবেন। তারই ইঙ্গিত মিলেছে।’’
সুজাপুরের হাতিবাড়ি মাঠে রাত্রি যাপন করেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা রাহুল গান্ধী। এ দিন সকালে সুজাপুর থেকে তিনি বেরোন। যাত্রাপথে সুজাপুর, নওদা যদুপুর, ১৬ মাইল কংগ্রেসের তরফে তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী মঞ্চ। কোনও মঞ্চেই রাহুল ওঠেননি। হুড খোলা লাল রঙের গাড়িতে গঙ্গা পেরিয়ে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা চলে যান। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ফাঁকা রাস্তায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিতে তাঁর গাড়ি ছুটেছে এবং জমায়েতের মোড়গুলিতে তাঁর গাড়ির গতি ছিল ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার। কোথাও তিনি গাড়ি থেকেও নামেননি।
রাহুলের কর্মসূচি নিয়ে কংগ্রেসের তরফে টানা প্রচার চালানো হয়েছিল। বড় বড় কাট-আউটে ছেয়ে ফেলা হয়েছিল কালিয়াচক। তবুও রাস্তার দু’ধারে ভিড় তেমন না হওয়ায় কংগ্রেসের অন্দরেই চর্চা শুরু হয়েছে।
এ সবের মধ্যেই কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরী অসুস্থ হয়ে কলকাতার এক নার্সিংহোমে ভর্তি। তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে ইশা খান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy