Advertisement
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Primary School

সময়ে স্কুলে আসেননি শিক্ষকেরা, পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিলেন খোদ শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান

ফুলবাড়ি পোস্ট অফিস এলাকার ওই স্কুল ১৯৭৯ সালে তৈরি হয়েছিল। সেখানে শতাধিক ছাত্রছাত্রীর জন্য পাঁচ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। অভিযোগ, শিক্ষক-শিক্ষিকারা সময় মতো স্কুলে আসেন না।

ক্লাস নিচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা।

ক্লাস নিচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
তপন (দক্ষিণ দিনাজপুর) শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৩২
Share: Save:

গিয়েছিলেন স্কুলে পড়াশোনা কেমন চলছে তা নিজের চোখে দেখতে। কিন্তু দেখা গেল, সময় পেরিয়ে গেলেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেউ স্কুলে আসেননি। অগত্যা দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন চক্রের কমলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে নিজেই ক্লাস নিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা।

ফুলবাড়ি পোস্ট অফিস এলাকার ওই স্কুল ১৯৭৯ সালে তৈরি হয়েছিল। সেখানে শতাধিক ছাত্রছাত্রীর জন্য পাঁচ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। অভিযোগ, শিক্ষক-শিক্ষিকারা সময় মতো স্কুলে আসেন না। সে কারণে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসেও এ দিক-ও দিক ঘুরে বেড়ায়। শনিবার সকালে আচমকাই সেখানে পরিদর্শনে পৌঁছন দক্ষিণ দিনাজপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। স্কুল শুরু হওয়ার কথা সকাল ১১টায়। তার ৫ মিনিট পর স্কুলে গিয়ে সন্তোষ দেখেন, এক জন মাত্র শিক্ষক সঠিক সময়ে স্কুলে এসেছেন। বাকিরা সময় পেরিয়ে গেলেও আসেননি। বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যান নিজেই প্রার্থনা করিয়ে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস নিতে শুরু করেন। উপস্থিত শিক্ষিকা অন্য একটি ক্লাস নেন।

নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে স্কুলে এসে বিস্মিত হন শিক্ষকেরা। কোনও শিক্ষক দাবি করেন, মিডডে মিলের বাজারের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। কেউ দাবি করেন, অফিসের কাজ করতে গিয়ে দেরি হয়ে গিয়েছে। এর পরেই সন্তোষ বালুরঘাটে ফিরে আসেন এবং স্কুল পরিদর্শকের মাধ্যমে ওই স্কুলে নির্দেশ পাঠান যে, আগামী সোমবার সমস্ত কাগজপত্র এবং খাতাপত্র নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরে দেখা করতে হবে। সন্তোষ বলেন, ‘‘ওই স্কুলের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই অভিযোগ পেতাম। শনিবার পরিদর্শনে গিয়ে দেখি, নির্দিষ্ট সময়ের পরেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা এসে পৌঁছননি। নিয়ম অনুযায়ী, ১১টা ১০ মিনিটের পরে স্কুলে প্রবেশ করলে সেই দিন ওই শিক্ষক খাতায় সই করতে পারবেন না। দিনটি তাঁর ছুটি হিসাবে গণ্য করা হবে।’’ তিনি জানিয়েছেন, সময় পেরিয়ে গেলেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা না আসায় তিনি ক্লাস নিতে বাধ্য হয়েছেন। পুজোর পর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে সঠিক সময় আসার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে এবং আরও কড়া হাতে এই বিষয়টি দেখা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকাকে স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না। সংসদ আইন অনুযায়ী যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Primary School South Dinajpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE