এক কেজির কম ইলিশ ১,০০০ টাকা। — ফাইল চিত্র।
বাঙালি খাদ্যরসিক। তার উপরে যদি নববর্ষের মতো অনুষ্ঠান হয়, তা হলে তো কথাই নেই। সকালের পাতে ফুলকো লুচির সঙ্গে দেশি আলুর দম। সঙ্গে ক্ষীরের মিষ্টি থেকে রসমালাই। দুপুরের পাতে ইলিশ তো পড়বেই, থাকবে কচি পাঁঠার ঝোল। আর শেষ পাতে আম-দই। সেই সুযোগে দামও বেড়েছে মাছ-মাংস থেকে আনাজপাতির। কোচবিহারের চিত্রশিল্পী শ্রীহরি দত্ত বলেন, ‘‘নতুনকে স্বাগত জানাব। তাই নতুন পোশাক, ছেলেদের পাজামা-পাঞ্জাবি, মেয়েদের শাড়ি থাকবে। পাঁঠার মাংস, ইলিশ দুটোই পাতে রাখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় হিসেব করতে হচ্ছে।’’’
দিনহাটার চিকিৎসক উজ্জ্বল আচার্য জানিয়েছেন, তাঁদের একটি সাহিত্য সংস্থার উদ্যোগে হচ্ছে ‘নববর্ষের আড্ডা’। তিনি বলেন, ‘‘নববর্ষে সঙ্গীত-কবিতার সঙ্গে খাওয়ারেরও থাকছে বিশেষ আয়োজন। বাড়িতে চিতল মাছ ও পাঁঠার মাংস থাকছে। সঙ্গে রসমালাই।’’ দিনহাটার ব্যবসায়ী তথা বণিক সংগঠন ‘ফোসিন’-এর সদস্য রানা গোস্বামী বলেন, ‘‘নববর্ষে সব জিনিসের চাহিদা থাকে বেশি। তাই দামও থাকে একটু বেশি।’’ প্রত্যেকেই জানান, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
আলিপুরদুয়ারেও সব জিনিসের দাম বেড়েছে। শুক্রবার থেকেই বাজারে জিনিসের দাম অন্য দিনের চেয়ে খানিকটা বেশি ছিল। এ দিন আলিপুরদুয়ার জেলার একাধিক বাজারে আম ১০০ টাকা কেজি, পাঁঠা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি, দই ১২০-১৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হয়েছে। আলুর দামও বেশি ছিল। তা বিকিয়েছে ২০-২২ টাকা কেজিতে। তাই দামের কারণে কিছুটা হলেও পকেটে টান পড়েছে বাসিন্দাদের।
আলিপুরদুয়ার জেলার এক বাসিন্দা সুব্রত গোস্বামী বলেন, ‘‘নববর্ষের দিন সকাল থেকে রাত প্রতি বছরই খাবারের নানা মেনু থাকে। দামের কারণে তাতে কিছুটা হলেও টান পড়েছে। যেখানে প্রতি বছর দুপুরের খাবারে ইলিশ, পাঁঠা—দু’টিই থাকত, এ বার সেখানে শুধু পাঁঠা রয়েছে। কারণ, ইলিশ কেজি প্রতি হাজার টাকারও বেশি দামে বিকোচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy