ফাইল চিত্র।
নতুন বছরের ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি পুরসভার ভোট করাতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে রাজ্য জুড়ে দু’দফায় পুরভোটের কথা বলেছে কমিশন। প্রথম দফায় হাওড়া, আসানসোল, চন্দননগর, বিধাননগরের সঙ্গে শিলিগুড়ি পুরসভারও ভোট করানোর কথা বলা হয়েছে। ওই দিনেই ভোট চূড়ান্ত হলে হাতে রইল মোটে এক মাস। এই সময়ের মধ্যে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে শিলিগুড়িতে টানা হারের বদনাম কি ঘোচাতে পারবে তৃণমূল? এ দিন দুপুর থেকে রাজ্যের শাসকদলের অন্দরেই শুরু হয়েছে এই নিয়ে জোর আলোচনা। বাম, বিজেপিও দিনক্ষণ শুনে প্রস্ততি শুরু করছে।
শাসকদলের নেতারা অনেকেই মনে করছেন, জেলাস্তর থেকে ওয়ার্ডে গোষ্ঠী কোন্দল, ব্যক্তিগত স্বার্থ ভুলে একজোট হয়ে কাজ না করলে ফল নিয়ে সংশয় থাকবেই। কারণ, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেও জেলায় সংগঠনের দুর্বলতায় লোকসভা, বিধানসভা, মহকুমা পরিষদের মতো পুরবোর্ডও হাতের বাইরে থেকেছে। এ বার অবশ্য শিলিগুড়ি নিয়ে আশাবাদী জেলা নেতৃত্ব। সমতলের চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শহরের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ এ বার মন তৈরি করে ফেলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে সামনে রেখেই ভোট হবে। আমরা জিতব।’’
দলীয় সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে কাজ করছে পিকের টিম। প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত দু’জন করে প্রার্থী বাছা হচ্ছে। সেখানে টিকিট পাবেন না বুঝতে পেরে অনেক দাবিদার আবার বিরূপ হয়ে উঠছেন। গত এক বছরে বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস থেকে অনেকে তৃণমূলে এসেছেন। তাঁরা টিকিট না পেলে নির্দল বা অন্য দলে গিয়ে কেউ কেউ দাঁড়াতেই পারেন। তাতে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে শাসকদলে। তাঁদের কী ভাবে নিরস্ত করা হবে, তা নিয়ে এখনও ধন্দে দল।
অগস্টে জেলার সভানেত্রী, চেয়ারম্যান বা শাখা সংগঠনের সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। তিনটি টাউন কমিটির সভাপতি নামের ঘোষণা হলেও আজ অবধি পূর্ণাঙ্গ জেলা বা টাউন কমিটি নেই। তাতে জেলাস্তরের একাধিক নেতানেত্রী ক্ষুব্ধ। পদ, টিকিট বা দায়িত্ব না পেলে তাঁরা ভোটে কী করবেন, তা সময়ই বলবে। জেলার বর্তমান পদাধিকারীরা একেবারেই সংগঠনে নতুন। সেখানে শিলিগুড়ি শহরের ভোট তাঁরা কতটা পারদর্শিতার সঙ্গে সামাল দেবেন, তা নিয়ে দলেই প্রশ্ন থাকছে।
বিজেপি এবং বামও প্রস্তুতিতে নেমে পড়ছে। গেরুয়া দলের পরপর হারের জেরে ফল কী হবে, তা নিয়ে নেতারাও চিন্তিত। দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা আহ্বায়ক আনন্দময় বর্মণ বলেন, ‘‘আমরা প্রস্তুত। ভোটে যাতে কলকাতার মতো প্রহসন না হয়, তা নির্বাচন কমিশনকে ভাবতে হবে।’’
এ দিনই বামফ্রন্টের তরফে গণতন্ত্র বজায় রেখে সুষ্টুভাবে ভোট করানো এবং পুর প্রশাসকমণ্ডলী অবিলম্বে খারিজ করার দাবি তোলা হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সমন পাঠক বলেছেন, ‘‘আমাদের টানা দাবির জেরেই ভোট হচ্ছে। আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।’’ অনেকেই মনে করছেন, কলকাতার ফলে উদ্যম ফিরে পেয়েছেন বামেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy