E-Paper

আবাসে টাকা পেতে আধার-তথ্য, চলছে কাজ

ট্যাব-কাণ্ডে জলপাইগুড়ির দশটি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দা হওয়া টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:২৪
Share
Save

আবাস প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকারের টাকা রবিবার থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করবে, বলে খবর প্রশাসন সূত্রের। উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানোর আগে, প্রশাসনের মাথায় রয়েছে ট্যাব-কাণ্ডের অভিজ্ঞতা। কারচুপি করে টাকা তুলে নেওয়ার আশঙ্কা নির্মূল করতে আবাস প্রকল্পে রাজ্য সরকার টাকা পাঠাবে আধার কার্ডের মাধ্যমে। আধারের ‘ইউনিক কোড’ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত না থাকলে উপভোক্তা কিস্তির টাকা পাবেন না। সে কারণে জলপাইগুড়ির গ্রামে-গ্রামে আবাসের তালিকায় নাম থাকা উপভোক্তাদের বায়োমেট্রিক তথা হাতের আঙুলের ছাপ থেকে চোখের ছবি নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “ময়নাগুড়ি এবং মেটেলিতে বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়ার কাজ প্রায় শেষ। বাকি ব্লকগুলিতে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।”

ট্যাব-কাণ্ডে জলপাইগুড়ির দশটি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দা হওয়া টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আবাস প্রকল্পে জলপাইগুড়ি জেলার প্রায় সত্তর হাজার বাসিন্দার অ্যাকাউন্টে কিস্তির টাকা ঢুকবে। সে কারণে চিন্তা ‘বেশি’ বলে দাবি, আধিকারিকদের একাংশের। উপভোক্তাদের মধ্যে যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইতিমধ্যে আধার কার্ডের সংযোগ করা রয়েছে, তাঁদের নতুন করে বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে না। তাঁদের ক্ষেত্রে আধার সংযুক্ত মোবাইলে পাঠানো একটি ‘যাচাই-কোড’ জানালে, অ্যাকাউন্টে আবাসের টাকা ঢুকবে।

যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার কার্ড বা মোবাইল সংযুক্ত নেই তাঁদের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে। প্রশাসনের তরফে দাবি, এই পদ্ধতিতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য হ্যাক করার আশঙ্কা নেই। কারণ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নয়, টাকা ঢুকবে আধার কার্ডের ‘ইউনিক কোড’ নম্বরের মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে ‘হ্যাক’ করে নতুন অ্যাকাউন্ট নম্বর জুড়তে গেলে উপভোক্তার মোবাইলে একাধিক ‘যাচাই কোড’ আসবে এবং জালিয়াতির চেষ্টা গোড়াতেই ধরা পড়বে বলে দাবি।

জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান বেণুরঞ্জন সরকার বলেন, “ট্যাব-কাণ্ডের কথা সবাই জানি। আবাস প্রকল্পে যে কোটি কোটি টাকা রাজ্য সরকার দেবে, তা যেন কেউ প্রতারণা করে নিতে না পারে সে কারণে প্রশাসন বায়োমেট্রিক তথ্য নিচ্ছে। আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতেও শিবির হয়েছে। খুব ভাল উদ্যোগ।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

PMAY Awas Yojana Jalpaiguri

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।