তৈরি হচ্ছে সরস্বতীর প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র।
করোনার জেরে বছরখানেক বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলবে। বসন্তী পঞ্চমী আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। সরস্বতী পুজোর আগেই খুলছে স্কুল। কোভিড পরবর্তী সময়ে স্কুলে সরস্বতী পুজো কতটা জাঁকজমক করে হবে, সে প্রশ্নই ঘুরছে। কপালে ভাঁজ মৃৎশিল্পীদেরও। কারণ, তাঁরা তো সরস্বতীর মূর্তি বানানো শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু এখনও বায়না হয়নি তেমন করে।
এর আগে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোতেও প্রতিমার চাহিদা কম ছিল। বিক্রিও কমেছিল। সরস্বতী পুজোতেও ভরসা রাখতে পারছেন না মৃৎশিল্পীরা। স্কুল খোলার ভাবনা আশা বাড়িয়েছিল। কিন্তু প্রতিমার তেমন বায়না নেই। প্রতি বছর স্কুল-কলেজ, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রচুর সরস্বতী প্রতিমার বায়না আসে। গত বছরেও এসেছে। তখনও যদিও কোভিডের হানা সে ভাবে এ দেশে পড়েনি। কোচবিহারের পালপাড়ার মৃৎশিল্পী সুজিত পাল। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি বছর এই সময়টায় নাওয়াখাওয়া ভুলে সরস্বতী তৈরিতে ব্যস্ত থাকতাম। কিন্তু এ বছর একটিও প্রতিমার বরাত আসেনি।’’ তবে ছোট করে হলেও স্কুলগুলিতে পুজো হবে— এই আশায় কিছু প্রতিমা বানিয়ে রেখেছেন সুজিত।
অন্য দিকে, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সরস্বতী পুজো ঘিরে চিন্তা বাড়ছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের তরফে সরস্বতী পুজো করার অনুরোধ আসছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে। তাই জাঁকজমক না হলেও, পুজো করার চিন্তা করতে হচ্ছে তাঁদেরকে। কোচবিহারের সুনীতি অ্যাক্যাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মনিদীপা নন্দী বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রতি বছর মতো জাঁকজমক করে সরস্বতী পুজোর আয়োজন এ বার হয়তো করে উঠতে পারব না। কারণ করোনা বিধি মানতে হবে। সরস্বতী পুজোর চাঁদা এ বার নেওয়া হচ্ছে না। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্তই ক্লাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতায় ছোট করে সরস্বতী পুজো করব। তবে সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy