মাথাভাঙা ২ ব্লকের সতীশেরহাট এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে আলু ফেলে বিক্ষোভ চাষিদের। নিজস্ব চিত্র।
ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠাতে অনুমতি দিতে হবে— এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন আলুচাষিরা। বুধবার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে আলু ছড়িয়ে দিয়ে অবরোধে শামিল হন তাঁরা। কোচবিহার শহরে মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। তাঁদের দাবি, ভিন্ রাজ্যে আলু না পাঠালে, লোকসানে পড়তে হবে। যদিও ক্রেতাদের দাবি, খুচরো বাজারে এখনও আলুর দাম কেজি প্ৰতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌমেন দত্ত বলেন, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আলুর দাম বেড়েছে। সে জন্য রাজ্য স্তরেই আলু ভিন্ রাজ্যে না পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আলুচাষিদের দাবি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ মাথাভাঙা ২ ব্লকের সতীশেরহাটে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে আলু ঢেলে অবরোধ করেন কৃষকেরা। ব্যস্ত সময়ে পথ অবরোধের জেরে, যানজটের সৃষ্টি হয়। দেড় ঘণ্টা পরে মহকুমাশাসক (মাথাভাঙা) ও পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধমুক্ত হয় জাতীয় সড়ক। স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। আন্দোলনকারী চাষিরা দাবি করেন, ব্যবসায়ীরা আলু কিনতে চাইছেন না। ফলে, হিমঘর থেকে আলু বার করতে পারছেন না তাঁরা।
আলু চাষি সুদেব দেব বলেন, ‘‘ভিন্ রাজ্যে রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধ থাকায় প্রতিদিনই আলুর দাম কমছে। হিমঘরের ভাড়া মিটিয়ে লোকসানে পড়তে হবে আমাদের।’’ কৃষক পরিমল বর্মণ বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে আলুর চাহিদা মিটিয়ে বাইরের রাজ্যে আলু পাঠানো হয়। যে ছোট আলু বাংলায় বিক্রি হয় না, সে আলু যায় বাইরে। ভিন্ রাজ্যে বাংলার আলুর একটা বাজার রয়েছে। সে বাজার হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কৃষকদের থেকে আলু কিনে যে ব্যবসায়ীরা ভিন্ রাজ্যে পাঠান, তাঁরাও ক্ষতির মুখে পড়ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy