বেহাল জাতীয় সড়ক ইসলামপুরের গুঞ্জরিয়া এলাকায়। —ফাইল চিত্র।
বাইক নিয়ে দিন দু’য়েক আগে পাঞ্জিপাড়ায় ব্যবসার কাজে যাচ্ছিলেন এক যুবক। বৃষ্টির জলে রাস্তার খানাখন্দ বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। ধনতলা সংলগ্ন এলাকায় গর্তে চাকা পড়ে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। পেছনে থাকা ট্রাক ব্রেক কষায় সামান্যর জন্য রক্ষা পান। আবার প্রায়শই ছোট গাড়ি নিয়ে রায়গঞ্জ বা শিলিগুড়ি যেতে হয় ভাড়ার গাড়ি চালকদের। রাস্তায় গর্তে পড়ে কখনও গাড়ির চাকা নষ্ট, কখনও ভেঙে পড়ে যন্ত্রাংশ। ইসলামপুরের ডালখোলা থেকে সোনাপুর পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার রাস্তার হাল এমনই।
এই নিয়ে অভিযোগ কম নেই সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনের কর্তাদের প্রত্যেকেরই। প্রতিদিনই ভুক্তভোগী পথচলতি মানুষজন। কেন সেই রাস্তার সংস্কারে উদ্যোগ হচ্ছেন না জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক কর্তা রামোজি প্রসাদ বলেন, ‘‘নিয়মিত জাতীয় সড়কের সংস্কারের কাজ হয়। বৃষ্টির জন্য সমস্যা হয়েছিল। সংস্কারের কাজ হচ্ছে।’’
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ যাই বলুন না কেন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ডালখোলা থেকে ইসলামপুরের বাইপাস পর্যন্ত কোথাও পিচের চাদর উঠেছে রাস্তা থেকে কোথাও তৈরি হয়েছে বিশাল গর্ত। একই অবস্থা ইসলামপুরের শ্রীকৃষ্ণপুর বাইপাস থেকে সোনাপুর পর্যন্ত। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কর্তারা বারবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি তাঁদের। মহাকুমা প্রশাসনের কর্তারা জানান, বিহার দিয়েও একটি জাতীয় সড়ক-এর কাজ চলছে। সেই কারণেই ডালখোলা থেকে সোনাপুর পর্যন্ত এই সড়কের জন্য ৫৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও পরে তা বাতিল হয়ে যায়। এই রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ হচ্ছে না বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। ইসলামপুরে মহকুমাশাসক আবদুল শাহিদ বলেন, ‘‘প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। আমি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বহু বার বলেছি পুজোর আগে যাতে সংস্কারের কাজ করেন তাঁরা।। আশা করছি কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy