প্রতীকী ছবি।
এক জনের মৃত্যু হয়েছিল ট্রেনে বাড়ি ফেরার পথে। অন্য জন ফেরার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে মারা যান। দু’দিনের ব্যবধানে হরিশ্চন্দ্রপুরে কিশোর ও যুবক দুই শ্রমিকের মৃত্যুতে প্রশাসনের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন একাধিক নেতা। তবে তৃণমূল ও বিরোধীরা এ জন্য কেন্দ্রকেই দুষেছেন। বিজেপি অবশ্য পাল্টা রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছে।
বুধবার মৃত কিশোর পীযূষ দাসের বাড়িতে যান যুব তৃণমূল নেতা বুলবুল খান। পীযূষের বাবা এখনও দিল্লি থেকে ফিরতে পারেননি। তিনিও শ্রমিক। পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন বুলবুল। তাঁদের খাদ্যসামগ্রীও দেন। একই দিনে পীযূষের বাড়ি গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস। বুলবুল ও জামিল সোমবার গিয়েছিলেন অন্য শ্রমিক বুধুয়া পরিহারের বাড়িতেও। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের শিশু, নারী ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ মার্জিনা খাতুন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান তজমুল হোসেন। তাঁরা ওই পরিবারকেও সাহায্য করেন। এ দিকে জেলা পরিষদ সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল জানান, পীযূষের করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
মালদহে ফেরার সময়ে শনিবার ট্রেনেই মারা যান হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লক পাড়ার বাসিন্দা বুধুয়া। রবিবার মুম্বই থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরে ফেরার পরে অসুস্থ হয়ে সোমবার মৃত্যু হয় পীযূষের। তার দেহ হরিশ্চন্দ্রপুরে নিয়ে আসা হয়নি। মালদহের সাদুল্লাপুরেই শেষকৃত্য হয়।
হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, “লকডাউনের পর শ্রমিকদের ফেরাতে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের পরিকল্পনার অভাবেই এমন দুর্দশার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।” সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌসও সে কথা বলেন। যুব তৃণমূল নেতা বুলবুল খান আবার বলেন, “শ্রমিকদের না ফিরিয়ে লকডাউন চালু করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” যদিও বিজেপির জেলা সম্পাদক কিসান কেডিয়ার দাবি, “লকডাউনে ট্রেনের বন্দোবস্ত করে সমস্ত রাজ্যের শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ রাজ্যের ক্ষেত্রে কী হয়েছে, তা আমরা সবাই দেখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy