মাটির গাঁথনি দেওয়া ইটের পাকা বাড়ি। এখনও বাড়িতে পলেস্তারা হয়নি। পরিযায়ী শ্রমিকের এমনই বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে। তার পরে তিন দিন কেটে গেলেও এখনও ‘হতবাক’ কালিয়াচকের নতুন সিলামপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারকে ‘নিরীহ’ হিসাবেই জানেন তাঁরা। সে কারণে কি ওই পরিবারকে বেছে মাদক মামলায় ধৃত রয়াল শেখের স্ত্রী ফতেমা বিবি নগদ টাকা রেখেছিল? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশের তদন্তকারী কর্তাদের দাবি, ওই পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ ৩৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকার নেপথ্যেও মাদক-যোগ রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ৯০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার-সহ গঙ্গানারায়াণপুরের বাসিন্দা রয়াল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রয়াল এখনও জেল হেফাজতে রয়েছে। তার স্ত্রী ফতেমা ওই শ্রমিকের বাড়িতে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে ব্যাগে করে ওই টাকা রেখে এসেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে টাকা রাখার কারণ কি? পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি চার মাস আগে শ্রমিকের কাজে রাজস্থানে গিয়েছেন। এখনও তিনি ভিন্-রাজ্যেই রয়েছেন। নাবালিকা দুই মেয়ে, এক ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন তাঁর স্ত্রী। বাড়িটি সাধারণ। এমন বাড়িতে টাকা রাখলে, কারও সন্দেহ হবে না। পুলিশের এ-ও দাবি, সাধারণ পরিবারের বাড়িতে টাকা রাখলে বেহাত হওয়ারও সম্ভাবনা কম থাকে। তাই মাদকের টাকা লুকোতে গ্রামের নিরীহ সাধারণ পরিবারকে বেছে নেওয়া হচ্ছে বলে অনুমান পুলিশের।
পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে আবার সাধারণ পরিবারকে টাকার প্রলোভনও দেওয়া হয়। প্রলোভনে পড়েও অনেকে ফেঁসে যান।” কালিয়াচকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী অবশ্য বলেন, “আমাকে ভয় দেখিয়ে ফতেমা বিবি ব্যাগটি রাখতে বলেছিল। বাড়িতে স্বামী না থাকায়, ভয় পেয়ে ব্যাগটি রেখেছিলাম। ব্যাগে টাকা আছে তা-ও আমি জানতাম না।”
অভিযুক্ত ফতেমা বিবি অবশ্য সোমবারও অধরা। তার খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy