আটক বাজি। নিজস্ব চিত্র।
পরনে টি-শার্ট। মুখে মাস্ক। রোগা-লম্বা মানুষটি বাজির খোঁজ করতেই হাজির এক যুবক। ‘বাজি খুঁজছেন? কত টাকার লাগবে?’ প্রশ্ন করতেই যুবককে আটক করলেন মুখোশধারী। মুখ থেকে মুখোশ নামাতেই ইংরেজবাজার থানার আইসি মদনমোহন রায়কে দেখে জিভ কাটলেন যুবক।
শুক্রবার শহরের বিচিত্রা মার্কেট, চিত্তরঞ্জন পুর-বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রচুর টাকার আতশবাজি, শব্দবাজি আটক করেন মদনমোহন। তিনি বলেন, ‘‘ক্রেতা সেজে সাদা পোশাকে এ দিন একাধিক বাজারে হানা দেওয়া হয়েছিল। লুকিয়ে শব্দবাজি, আতশবাজি বিক্রির চেষ্টা চলছিল বাজারগুলিতে। প্রচুর টাকার বাজি আটক করা হয়েছে।’’ কালীপুজো পর্যন্ত নিয়মিত ইংরেজবাজার থানার অফিসারের অভিযান চালাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘করোনা-আবহে আতশবাজি, শব্দবাজি ব্যবহার না করতে মানুষকে সচেতন এবং সতর্ক করা হবে।’’
করোনা-আবহে বাজির ব্যবহার নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশিকার পরে বদলে গিয়েছে ছবিটা। এ ছাড়া এ দিনই নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে জেলার পুলিশ, প্রশাসনের কর্তাদর বাজির ব্যবহার রোখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই তৎপর পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। তবে বাজি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারই বাজারে ছেয়ে গিয়েছিল বাজি। প্রকাশ্যেই সাজানো ছিল বাজির পসরা। এমন অবস্থায় দীপাবলি এবং কালীপুজো, ছটে বাজির ব্যবহার কী ভাবে রোখা যাবে, সেই পথ খুঁজছে পুলিশ।
সাধারণ মানুষের দাবি, শব্দবাজির ব্যবহার রুখতে পুজোর আগে অভিযান চলে। তার পরেও কালীপুজো, দীপাবলি, ছটে শব্দবাজি ফাটতে দেখা যায়। বাজারে লুকিয়ে বিক্রি চলে শব্দবাজি। এ বারে আতশবাজিও নিষিদ্ধ। তবে বাজারে মজুত রয়েছে বাজি। এমনকি, আতশবাজিও লুকিয়ে বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। মালদহে বাজির কারখানা নেই।
তবে কোথা থেকে জেলায় আসছে বাজি? ব্যবসায়ীদের দাবি, মুর্শিদাবাদ, কলকাতা থেকে বাজি আসে। অনেক সময় ঝাড়খণ্ড থেকেও প্রচুর শব্দবাজি আসে। মালদহের বিচিত্রা মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মানিক জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের বাজারেই শতাধিক ব্যবসায়ী বাজি বিক্রি করেন। অনেকে দুর্গা পুজোর পরেই বাজি মজুত করে নিয়েছিলেন। এখন নির্দেশিকা জারি হতে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। প্রচুর টাকার লোকসানে পড়তে হবে।” মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “বাজারে নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে। মাইকিং করে সচেতন এবং সতর্কও করা হবে সাধারণ মানুষকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy