Advertisement
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
Police

বৈঠকে কড়া বার্তা পুলিশের

এ দিন সমন্বয় বৈঠকে জানানো হয় দুর্গাপুজোর মতো করে করোনাবিধি মেনে পুজোর অনুমতি মিলবে। পুজোর আয়োজন থেকে শুরু করে ভাসান পর্যন্ত একই রকমের নির্দেশিকা মানতে হবে।

খোলা: বাজি বিক্রি বন্ধ বলে নোটিশ ঝুলছে। অথচ খোলা দোকান, সাজানো বাজিও। জলপাইগুড়ি। নিজস্ব চিত্র।

খোলা: বাজি বিক্রি বন্ধ বলে নোটিশ ঝুলছে। অথচ খোলা দোকান, সাজানো বাজিও। জলপাইগুড়ি। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২০ ০৪:০০
Share: Save:

কালীপুজোর সমন্বয় বৈঠকে বাজি পোড়ানো বন্ধ রাখার কথা বললো শিলিগুড়ি পুলিশ। প্রতিবার কালীপুজোর আগে শহরের সমস্ত পুজো কর্মকর্তাদের ডেকে সমন্বয় বৈঠক করা হয়। সেখানে সাধারণত কী কী নিয়ম মানতে হবে তা বলে দেওয়া হয়। এ বার সেই বৈঠকে করোনা বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। তার পাশাপাশি বাজি নিয়ে আদালতের নির্দেশিকার কথা জানিয়ে কঠোরভাবে বাজি পোড়ানো বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। কোনও ক্লাবের তরফে যাতে কোনওভাবেই বাজি পোড়ানো না হয় সেই কথা জানানো হয়েছে। শনিবার সেবক রোড একটি বেসরকারি ভবনে পুলিশ, প্রশাসন এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরের আধিকারিক এবং ক্লাব কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়।

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারি অথর্ব বলেন, ‘‘দুর্গাপূজায় যেভাবে সাধারণ মানুষ নিয়ন্ত্রণ এবং সংযম বজায় রেখেছিল। এ বারও তাই আশা করছি আমরা। বাজি কোনওভাবেই জ্বালাবেন না।’’ শনিবার থেকেই শহরে শুরু হয়েছে পুলিশের মাইক প্রচার। বিভিন্ন থানা এলাকায় বাজির বেচাকেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ওই প্রচার চলছে বলে জানান তারা। যদিও বাসিন্দাদের দাবি, শহরে লুকিয়ে বাজি বিক্রি হচ্ছে। তা ঠেকাতে পুলিশ যথেষ্ট কড়া হচ্ছে না বলে তাঁদের অভিযোগ। বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ তল্লাশি চালালে লুকিয়ে বাজি বিক্রি বন্ধ হবে।

নির্দেশ আসার আগেই বাজি ব্যবসায়ীদের একটি অংশ প্রচুর টাকা লগ্নি করে বাজি শহরে এনে ফেলেছেন। এখন সেগুলি বিক্রি না হলে তাঁদের মাথায় হাত পড়বে। সেই কারণেই লুকিয়ে-চুরিয়ে বাজি বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ। বেশকিছু মহল থেকে প্রস্তাব উঠেছে, যাতে ব্যবসায়ীদের বাজি কেনার স্টক মিলিয়ে দেখে পুলিশ। তা না হলে গোপনে বাজি বিক্রি বন্ধ হওয়ার রাস্তা নেই বলে মনে করছেন তাঁরা।

এ দিন সমন্বয় বৈঠকে জানানো হয় দুর্গাপুজোর মতো করে করোনাবিধি মেনে পুজোর অনুমতি মিলবে। পুজোর আয়োজন থেকে শুরু করে ভাসান পর্যন্ত একই রকমের নির্দেশিকা মানতে হবে। ভাসানে ১০-১৫ জনের বেশি অনুমোদন করা হবে না। পুলিশকর্তারা জানান, ১৪ নভেম্বর কালীপুজোর দিন থেকে শুরু করে ১৭ নভেম্বর ভাসানের শেষদিন পর্যন্ত শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Police Kali Puja committees Kali Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy