E-Paper

নথি নিয়ে সাইবার প্রতারণা, সতর্কতা পুলিশের

প্রান্তিক জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রতিটি ব্লকে মাইক্রো ফিনান্স কোম্পানি ঋণের নামে করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গ্রাহকদের থেকে তুলে থাকে। সে সব ক্ষেত্রে সাদা পোশাকে নজরদারি এবং অভিযোগ হলে সাইবার ক্রাইম থানার মাধ্যমে তদন্তের দাবি তুলছেন অনেকেই।

— প্রতীকী চিত্র।

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪০
Share
Save

এ বার দক্ষিণ দিনাজপুরেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অবৈধ লেনদেন করার ঘটনা সামনে এসেছে। সম্প্রতি বংশীহারির এক ব্যক্তি ধরা পড়ার পর এই নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, চক্রের জাল ছড়িয়ে অন্য রাজ্যেও। একই সঙ্গে আধিকারিকেরা দেখছেন, গ্রামে–গঞ্জে এই ধরনের জালিয়াতির ঘটনায় সচেতনতা প্রায় শূন্য। যদিও পুলিশ কর্তাদের দাবি, তা নিয়ে প্রচার চলছে।

উত্তর দিনাজপুরে একই ভাবে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা তোলা হয়েছে বেশ কিছু সামাজিক প্রকল্পের টাকাও গায়েব করা হয়েছে এই পদ্ধতিতেই। দক্ষিণ দিনাজপুরে সম্প্রতি বংশীহারির এক যুবক বন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ সব নথি হাতিয়ে নিয়ে তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে অবৈধ লেনদেন করছিল বলে অভিযোগ। টাকা দিয়ে নথি কিনে ব্যাঙ্কের ই-অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার মতো অপরাধেও তা ব্যবহার হচ্ছে বলে পুলিশের দাবি।

প্রান্তিক জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রতিটি ব্লকে মাইক্রো ফিনান্স কোম্পানি ঋণের নামে করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গ্রাহকদের থেকে তুলে থাকে। সে সব ক্ষেত্রে সাদা পোশাকে নজরদারি এবং অভিযোগ হলে সাইবার ক্রাইম থানার মাধ্যমে তদন্তের দাবি তুলছেন অনেকেই। জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল এই অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়ার প্রলোভন থেকে সবাইকেই দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘একটি থেকে দুটি, দুটি থেকে তিনটি অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলছে প্রতারকেরা। গুরুত্বপূর্ণ নথি সামলে রাখতে হবে।’’ জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার (সাইবার ক্রাইম) বিক্রম প্রসাদ দাবি করেন, কারও অজান্তে অ্যাকাউন্ট খোলা প্রায় অসম্ভব। তবে গুরুত্বপূর্ণ নথির মাধ্যমে যদি মোবাইল নম্বর বদল করে ফেলা হয়, সে ক্ষেত্রে তা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পুলিশের। জেলা পুলিশ জানাচ্ছে, তদন্তে দেখা গিয়েছে যার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লেনদেন হয়েছে, তিনি প্রান্তিক সাধারণ মানুষ। এ সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল গ্রেফতারের ভয় দেখিয়েও অ্যাকাউন্ট অবৈধ টাকা লেনদেনে ব্যবহার হচ্ছে বলে ইঙ্গিত। সম্প্রতি, বালুরঘাটের এক রেশন ডিলার মহিলার থেকে ধাপে ধাপে ৪০ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়েও চলছে তদন্ত।

তথ্য সহায়তা: অনুপরতন মোহান্ত

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Cyber fraud police investigation Balurghat

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।