পুলিশ স্বামীর গার্হস্থ্য হিংসা ও খুনের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
প্রথমে লাঠি দিয়ে পেটানো। তার পর স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ। অভিযুক্ত এক জন পুলিশকর্মী। পরে গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচতে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা এবং খুনের অভিযোগে মামলা করেছেন শ্বশুর। ঘটনাটি পুরাতন মালদহ থানার মহিষবাথানি এলাকার।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মাম্পি মণ্ডল। তাঁর বাপের বাড়ি পুরাতন মালদহ থানার পোপরা এলাকায়। সাত বছর আগে মহিষবাথানি পঞ্চায়েতের খুনিবাথানের বাসিন্দা পেশায় পুলিশকর্মী জয়ন্ত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দুই নাবালক পুত্রসন্তান রয়েছে। মৃতের কাকা রামু মণ্ডল পুলিশকে অভিযোগে বলেন, ‘‘লাঠি নিয়ে জামাই জয়ন্ত ‘ডিউটি’ করতেন। সেই লাঠি দিয়েই বাড়িতে এসে তাঁর ভাইঝিকে মারধর করতেন। এটা প্রায় প্রতি দিন চলত। শুক্রবার মারতে মারতে মাম্পিকে প্রাণে মেরে ফেলে জামাই।’’ মাম্পির কাকার আরও অভিযোগ, সম্প্রতি এক মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পারেন তাঁর ভাইঝি। এ নিয়ে প্রতিবাদও করেন তিনি। তার পর থেকেই অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায় বলে রামুর অভিযোগ।
মাম্পির পরিবারের আরও অভিযোগ, স্ত্রীকে খুন করার পর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে একটি আম গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তাঁর দেহ। স্থানীয়রাও অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া জয়ন্তের পিসি ফুলমণির বিরুদ্ধেও খানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বাপের বাড়ির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ, তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy