অপেক্ষা: বাগডোগরা বিমানবন্দরে যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র
বন্ধ ছিল না। তাও শনিবারও ভোর পাঁচটা থেকে খোলা থাকল বাগডোগরা বিমানবন্দর। পাহাড়ে গোলমালের জেরে দার্জিলিং ছেড়ে শুক্রবারই অনেকে বিমানে ফিরে গিয়েছেন। শনিবারও ফিরলেন অনেকে।
পর্যটকদের যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শনিবার দুটি বাড়তি উড়ান চালানো হয়েছিল বাগডোগরা থেকে কলকাতা পর্যন্ত। ওই দুটি বিমানের সমস্ত আসনই কার্যত ভর্তি হয়ে যায়।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর রাকেশ সহায় বলেন, ‘‘এ দিন সে দুটি বাড়তি বিমান দেওয়া হয়েছিল তার একটি এয়ার ইন্ডিয়ার এবং অপরটি স্পাইসজেটের। দুটি বিমানে ১৯৫ জন এদিন কলকাতা ফিরেছেন।’’ বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে আসন ছিল ১২২টি তার মধ্যে ৮টি বিজনেস ক্লাসের, বাকি সব ইকোনমি ক্লাসের আসন। ৫টি বিজনেস ক্লাসের আসন ছাড়া সব আসনই বুকিং হয়ে যায়। স্পাইসজেটের বিমানে ৭৮টি আসনের সবগুলোই বুকিং হয়। সব মিলিয়ে এ দিন ২৪টি বিমানে ৩৯১৫ জন যাত্রী বাগডোগরা থেকে অন্যত্র গিয়েছেন।
মোর্চার আন্দোলনের জেরে পাহাড় থেকে যে সমস্ত পর্যটকেরা নেমে আসছেন তাদের কথা ভেবে এ দিনও ভোর পাঁচটা থেকে টার্মিনাল ভবন খুলে দেওয়া হয়েছিল। রেস্তোরাঁ চালু হয় তার কিছুক্ষণের মধ্যেই। দার্জিলিং থেকে ফেরা অনেক পর্যটকেরা এ দিনও সকালে বিমনবন্দরে পৌঁছন, খাওয়াদাওয়া সারেন। বিশ্রাম নেন উড়ানের সময় না হওয়া পর্যন্ত।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর জানান, দোকান, রেস্টুরেন্ট মালিকদের বেবিফুড, দুধ, জল পর্যাপ্ত রাখতে বলা হয়েছিল। পর্যটকেরা অনেকেই দীর্ঘসময় টার্মিনাল ভবনেই বিশ্রাম নিয়েছেন।
গুজরাতের বাসিন্দা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী নীলেশ পটেল এবং তাঁর স্ত্রী সোনাদেবী বলেন, ‘‘দার্জিলিং এ বার আর ঘোরা হল না। এ ধরনের ঘটনা এলাকার পর্যটন শিল্পের ক্ষতি করবে।’’ পরিবারের লোকজনদের নিয়ে তাঁরা বেলা ১১টার মধ্যেই বিমানবন্দরে পৌঁছন। উড়ান ছেড়েছে সাড়ে তিনটের পরে। টার্মিনাল ভবনে বিশ্রাম নিয়ে রেস্তোরাঁতে দুপুরে খেয়েছেন তাঁদের মতো অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy