ভার্চুয়াল বক্তৃতায় নীতিন গড়করি। মঞ্চে উপস্থিত শুভেন্দু, দিলীপ, লকেট প্রমুখ। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রীয় সড়ক যোগাযোগমন্ত্রী নীতিন গডকড়ীর সভা দুপুর দেড়টা নাগাদ শুরু হওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপির নেতা ও কর্মীদের ভিড় জমতে শুরু করেছিল। দুপুরে সরকারি ওই সভাস্থল ভিড়ে উপচে পড়ে। সভাস্থলের বাইরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বিজেপির দলীয় পতাকায় ছেয়ে গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত অসুস্থতার কারণে এবং হেলিকপ্টারের সমস্যায় সভায় এলেন না নীতিন। দুপুর দেড়টা নাগাদ রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী মঞ্চে সে কথা ঘোষণা করতেই বিজেপির বেশির ভাগ নেতা ও কর্মী হতাশ হয়ে সভাস্থল ছেড়ে চলে যান। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের পানিশালা তেঁতুলতলা এলাকায় ওই ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়েন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।
এক বিজেপি নেতা বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী রায়গঞ্জ শহরের প্রধান এলাকায় রোড শো করেননি। এ বারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নীতিনজিও রায়গঞ্জে এলেন না। দলে হতাশা তো বাড়বেই।” দেবশ্রীর অবশ্য দাবি, নীতিন শিলিগুড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে ও পরে তাঁর হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে তিনি রায়গঞ্জে আসতে পারলেন না। দেবশ্রী বলেন, “নীতিনজি রায়গঞ্জ-ডালখোলা চার লেনের রাস্তা ও ডালখোলা বাইপাস তৈরি করে যানজট ও দুর্ঘটনার সমাধান করেছেন। তাই হতাশার ব্যাপার নেই।”
এ দিন তেঁতুলতলা এলাকার ওই সভাস্থল থেকে রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলা চার লেনের জাতীয় সড়ক ও ডালখোলা বাইপাস রাস্তা উদ্বোধন করার কথা ছিল নীতিনের। তাঁর সঙ্গে থাকার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। শুভেন্দুও এ দিন অনুপস্থিত ছিলেন। দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শিলিগুড়ি থেকে রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলা চার লেনের জাতীয় সড়ক ও বাইপাস উদ্বোধন করেন নীতিন। ডালখোলায় বাইপাস চালু হওয়ার জেরে, শহরের রেলগেটকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ কয়েক দশকের যানজটের সমস্যার সমাধান হয়েছে।
তবে এ দিন নীতিনের ‘ভার্চুয়াল’ পদ্ধতিতে রাস্তা-বাইপাস উদ্বোধনের সময়ে বায়ুসেনার কর্মীদের ফিরিয়ে নিতে শিলিগুড়ি থেকে দু’টি হেলিকপ্টার সভাস্থলের পাশে হেলিপ্যাডে নামে। ফলে, জায়ান্ট স্ক্রিনে নীতিনের ভাষণ চলাকালীন হেলিকপ্টারগুলি দেখতে সভাস্থল ও আশপাশের এলাকায় বাসিন্দাদের একাংশ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। এ দিন ওই সভাস্থলে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। তিনি বলেন, “নীতিনজিকে রাজ্য সরকারের তরফে স্বাগত জানাতে ও কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকারের বকেয়া পাওনা এক লক্ষ ন’হাজার কোটি টাকা চাইতেই সভায় গিয়েছিলাম।” অন্য দিকে, ডালখোলায় নয়া বাইপাসের জেরে যানজট সমাধান হওয়ায় অসম থেকে কলকাতায় যাওয়ার পথে বিহারের ট্যাঙ্কার চালক ধীরেশ যাদব নীতিনকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য অসম থেকে আনা একটি গামছা দেবশ্রীর হাতে তুলে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy