উন্মাদনা: মিছিলে। নিজস্ব চিত্র
দশ দিন আগে বিজেপির মিছিলে পাহাড়ের মুখ প্রায় চোখেই পড়েনি। এ দিন কিন্তু তৃণমূলের মিছিল ভরিয়ে দিল দার্জিলিং পাহাড়।
দশ দিন আগের মিছিলে বিজেপির সাংসদ ছিলেন। এ দিনের মিছিলে তৃণমূলের সহযোগী পাহাড়ের দু নেতা বিনয় তামাং, অনীত থাপা ছিলেন না। কিন্তু তৃণমূলের হিসেবে হাজার দশেক পাহাড়ের মানুষ যোগ দিয়েছিলেন মিছিলে। এদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন উন্নয়ন পর্ষদের সদস্যরাও।
তাই দিনের শেষে উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘আমরা কারও সঙ্গে তুলনায় নেই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলের পাহাড়বাসীর উপস্থিতিই বুঝিয়ে দিয়েছে দার্জিলিং কী চাইছে। বিজেপি পাহাড়বাসীদের বোকা বানিয়ে ভোটে জেতার চক্রান্ত এ বার শেষ হবে।’’
দলীয় সূত্রের খবর, মিছিলের প্রস্তুতির গোড়া থেকেই তৃণমূল ঠিক করেছিল, বিভিন্ন সংগঠন, উন্নয়ন পর্ষদের লোকজনকে পাহাড় থেকে আনা হবে। মোর্চার প্রতিনিধিরা সরাসরি মিছিলে থাকবেন না। তাই বিনয়-অনীতরা আসেননি। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২২ জানুয়ারি নাগরিক পঞ্জি ও নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পাহাড়ে মিছিল করবেন। সেখানেই বিনয়, অনীতদের নেতৃত্বে মোর্চার কর্মী, সমর্থকেরা রাস্তায় নামবেন।
এ দিন মিছিলে শেরপা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিমা ওয়াংদি শেরপা বলেছেন, ‘‘আমরা গোর্খা, দার্জিলিঙের বাসিন্দা। এই দেশের নাগরিক। বছর বছর ভোট দিচ্ছি। অথচ আমাদের নাগরিকত্ব নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। বিজেপির আইন তাই আমরা মানি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের পাশে থেকে হাত শক্ত করতে এসেছি।’’
পাহাড় থেকে এ দিনের মিছিলে মানুষ আসবে, তা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে কয়েক দিন আগে থেকেই খবর আসছিল। বিশেষ করে, তৃণমূলের দখলে থাকা মিরিক পুর এলাকা, কার্শিয়াং, দার্জিলিং থেকে কয়েক হাজার মানুষ আসছেন ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিয়েছিল দল। কয়েক দিন আগে দার্জিলিং শহরে বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য এনআরসি-বিরোধী মিছিল করে ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মিছিলে যোগ দেবেন। সেই মতো অনেকেই এসেছিলেন এ দিন। সভা চলাকালীন দার্জিলিঙের বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে থাকা একটি শিশুও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে অবশ্য পুলিশ এবং তৃণমূল কর্মীরা ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে সুস্থ করার চেষ্টা শুরু করেন।
বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা অবশ্য বলেন, ‘‘জোর করে ভয় দেখিয়ে লোক মিছিলে আনা হয়েছে। উনি ২০১৭ সালের আন্দোলনে পাহাড়বাসীর সঙ্গে কী করেছেন, তা সবার মনে আছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy