দার্জিলিং থেকে দেখা যাচ্ছে স্লিপিং বুদ্ধ। —নিজস্ব চিত্র।
কোভিড বিধি কাটিয়ে মাসখানেক পর খুলছে পর্যটনের দুয়ার। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোাপধ্যায়ের ঘোষণায় আশাবাদী পাহাড়ে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েক দিন ধরেই টানা তুষারপাত চলছে দার্জিলিঙে। বছরের এই সময়টায় পাহাড়ের সৌন্দর্য় উপভোগ করার ইচ্ছা নিয়ে দার্জিলিঙে ছুটে আসেন পর্যটকেরা। তবে কোভিড বিধির জেরে এত দিন বিধি বাম ছিল। ব্যবসার মরসুমেও পর্যটকহীন পাহাড়। তবে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে খুলে যাবে পর্যটন শিল্প। তাতে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। শীত থাকতে থাকতে পর্যটন শিল্প খুলে যাওয়ায় আয়ের আশায় রয়েছেন ওই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলেই। গত ৩ জানুয়ারি কোভিড বিধি জারি হওয়ার পর থেকেই পাহাড় খালি হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ হবে বলে আশায় ব্যবসায়ীরা।
অন্যান্য বারের তুলনায় এ বছর দার্জিলিঙের সান্দাকফু, টংলিং, টুংলু, ফালুট-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক তুষারপাত হচ্ছে। ফলে তা দেখতে পর্যটকেরা ভিড় জমাবেন বলে আশায় বুক বাঁধছেন সকলেই। গত সপ্তাহে ‘হিমালয় হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিধিনিষেধ মেনে পর্যটন ব্যবসা খোলার আবেদন জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। তাতে মুখ্যমন্ত্রী সাড়া দেওয়ায় খুশির হাওয়া পাহাড়ের ব্যবসায়ীমহলে।
ওই নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাহাড় থেকে সমতলের পর্যটনের সাথে যুক্ত সব ধরনের ব্যবসায়ীরা কৃতজ্ঞ। এ বছর যে পরিমাণ তুষারপাত হয়েছে তাতে পর্যটন ব্যবসার সমস্ত রেকর্ড ভাঙত। কিন্তু হঠাৎই তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এখনও বরফাচ্ছন্ন পাহাড়। আশা রাখছি পর্যটকের ঢল নামবে।’’
পাহাড়ের হাসির ছবি দেখা গিয়েছে ডুয়ার্সেও। এত দিন রিসর্টগুলি খোলা থাকলেও কোভিডবিধির জেরে পর্যটকশূন্য ছিল ডুয়ার্স। তা নিয়ে আন্দোলনেও নেমেছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ী-সহ অনেকেই। সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী পর্যটনকেন্দ্র খোলার ঘোষণা করায় খুশি সকলেই। ‘গরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্য শেখ জিয়ারুল রহমানের কথায়, ‘‘এত দিন কোভিড বিধির জেরে পর্যটকেরা রিসর্ট খোলা থাকলেও আসছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী পর্যটনকেন্দ্র খোলার অনুমতি দেওয়ায় আমরা খুশি। ওঁকে ধন্যবাদ জানাই।’’
‘গরুমারা জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক মজিদুল ইসলামের বক্তব্য, ‘‘পর্যটনকেন্দ্রগুলি বন্ধ থাকায় আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। পর্যটনের উপর নির্ভরশীল সকলেই দুর্দশায় পড়েছিলেন। সংসার চালানো তাঁদের কাছে কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। আমরা প্রায় ১২টি সংগঠন যৌথ ভাবে আন্দোলন শুরু করি। জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন পাঠাই। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কথা ভেবে এই অনুমতি দিয়েছেন। ওঁকে ধন্যবাদ জানাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy