শুনশান: জমেনি আলিপুরদুয়ার হাট। রবিবার দুপুরে। নিজস্ব চিত্র
কেউ জানেনই না, কেউ বেমালুম ভুলে গিয়েছেন। লকডাউন নিয়ে অনেকটা এমনই অবস্থা কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দাদের। কেউ বা জানলেও নিশ্চিন্ত যে দোকান-বাজার কিছু না কিছু ঠিকই খোলা মিলবে, চলবে টোটো-অটোও।
রাত পোহালেই লকডাউন। শুরুর দিকে লকডাউনের আগের দিন সকলে তড়িঘড়ি করে দু’দিনের কাজ সেরে রাখতেন। এখন সে সব দৃশ্য কার্যত উধাও। গত মাসের শেষ দু’দিন লকডাউনে ভিড় দেখা গিয়েছিল রাস্তায়। টোটো-অটো চলতেও দেখা যায়। আবার ছোট-খাটো আনাজের বাজারও বসে দু’এক জায়গায়। পুলিশ-প্রশাসনের কড়াকড়ি ছিল তুলনামূলক ভাবে কম। এ বারও তেমনই অবস্থা থাকবে বলে ধরে নিয়েছেন বাসিন্দাদের অনেকে। প্রশাসনের তরফে অবশ্য স্পষ্ট জানানো হয়েছে, আইন মেনেই সকলকে চলতে হবে। অবশ্য লকডাউন নিয়ে তেমন কোনও প্রচার চোখে পড়েনি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, “দিন কয়েক ধরেই লকডাউন নিয়ে প্রচার চলছে।”
লকডাউনের আগের দিন আলিপুরদুয়ারের বাজারগুলিতে বরাবর ভিড় উপচে পড়ার ছবি দেখা যায়। সোমবার সরকারি পূর্ণ লকডাউন। স্বভাবতই আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন বাজারগুলিতে রবিবার ভিড় হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু, এ দিন সে ছবি দেখা গেল না। এ দিন সকাল থেকে বৃষ্টি এবং আকাশের মুখ ভার থাকায় বড় বাজার, রেল বাজার এবং অন্য কোনও বাজারেই তেমন ভিড় হয়নি। অভিযোগ, সামাজিক দূরত্ববিধি না মেনে গলায় মাস্ক ঝুলিয়ে বাজার করা শহরের একাংশ মানুষের রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। করোনা আবহে এই প্রথম লকডাউনের আগের দিন ভিড় করতে দেখা গেল না তাঁদের। অবশ্য অন্য দিনের তুলনায় শহরের রাস্তায় লোকজনের একটু বেশি আনাগোনা দেখা গিয়েছে।
অনেকে বৃষ্টির জন্য সকালে আনাজ বা মাছ মাংস কিনতে বার হননি। তাঁদের অনেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বিকালে কেনাকাটা করতে বার হন। তবে বিকালেও বাজারগুলিতে ভিড়ের ছবি ছিল না। এক বাসিন্দা জানান, অনেক দিন পর রবিবারের বাজারে ভিড় দেখলাম না। এমনিতেই রবিবারের বাজারে মাছ-মাংস আনাজ কিনতে ভিড় জমান একদল মানুষ। তার পর লকডাউনের আগের দিন হলে তো কথাই নেই। গায়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলে বাজার করা অভ্যাস এক শ্রেণির মানুষের। করোনা আবহে তার অন্যাথা হয়নি। আর কবে ওই মানুষগুলির হুঁশ ফিরবে কে জানে।
সকাল সকাল কোচবিহারের পথে যাওয়া এক বাসিন্দা দীনেশ বর্মণ বলেন, “আমার তো মনেই নেই, কবে কবে লকডাউন। মাইকে প্রচারও শুনিনি। আমার তো শহরে যেতেই হবে। অনেক দিন কোনও কাজ ছিল না। এখন একদিন কাজ না হলে টানাটানি পড়ে যায়। তাই আমার যেতেই হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy