Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Crackers

নজর থাকছে, কিন্তু সচেতনতা

শব্দবাজির আওয়াজ বোঝা যায়। সে ক্ষেত্রে কোন এলাকায় তা পোড়ান হচ্ছে, আন্দাজ করাটা তুলনায় সহজ। কিন্তু আতশবাজির ক্ষেত্রে কোথাও তা পোড়ানো হলে তা অনেক ক্ষেত্রেই বোঝা মুশকিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কোচবিহার ও শামুকতলা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২০ ০৪:১৮
Share: Save:

প্রতি বছর শব্দবাজি নিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে। তার পরেও দুই পাশাপাশি জেলায় দেদার শব্দবাজি ফাটে। এ বারে হাইকোর্ট থেকে আতশবাজি বন্ধ করে দেওয়ার পরে পুলিশ-প্রশাসনের প্রধান চিন্তা, নজরদারি চলবে কী করে? তাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে এর মধ্যেই আলিপুরদুয়ারের ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর আগে থেকে বাজি মজুত শুরু হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ আসার আগে এক থেকে দেড় কোটি টাকার বাজি মজুত হয়ে গিয়েছে। তার বেশিরভাগটাই আতশবাজি। এ বারে সেই বাজি যাবে কোথায়? পরিবেশপ্রেমীদের আশঙ্কা, কালীপুজো এবং দীপাবলির আগে চোরা পথে সে বাজি বিক্রি হবে। কেন না পুলিশ নজরদারি চালিয়ে যেটুকু বাজি বাজেয়াপ্ত করছে, সেটা মজুত বাজির তুলনায় খুবই সামান্য। বাজির বিরুদ্ধে জেলা সদর বা ছোট শহরে অভিযান চললেও প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে পুলিশের নজর এড়িয়ে বাজি বিক্রি চলবে। তবে শামুকতলা থানার ওসি বিরাজ মুখোপাধ্যায় জানান, কোর্টের নির্দেশিকা মেনে কাজ করা হচ্ছে।

পড়শি জেলা কোচবিহারেও বাজি বিক্রি বন্ধে বাজারে টানা নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। এই নজরদারি চালাবেন সাদা পোশাকের পুলিশেরা। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নিয়ে এর মধ্যে বিভিন্ন থানার আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার। বিভিন্ন থানা স্তরে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বাজি না পোড়ানোর ব্যাপারে বার্তা দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। কোথাও শব্দবাজি পোড়ানো হলে যাতে দ্রুত পুলিশকে তা জানানো হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ, প্রশাসন অবশ্য মানছে, আসল চিন্তা বেড়েছে আতশবাজি নিয়ে। বাসিন্দা ও পরিবেশপ্রেমীদের একাংশের অভিযোগ, শব্দবাজির আওয়াজ বোঝা যায়। সে ক্ষেত্রে কোন এলাকায় তা পোড়ান হচ্ছে, আন্দাজ করাটা তুলনায় সহজ। কিন্তু আতশবাজির ক্ষেত্রে কোথাও তা পোড়ানো হলে তা অনেক ক্ষেত্রেই বোঝা মুশকিল। পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘সমস্ত ধরনের বাজি বিক্রি বন্ধেই বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দোকান, বাজারে সাদা পোশাকের পুলিশও নজরদারি শুরু করেছেন। বাজি বিক্রির উৎস বন্ধ করে দেওয়াটাই পাখির চোখ। দীপাবলী পর্যন্ত ওই বাড়তি নজরদারি থাকবে। প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে।’’

কোচবিহারের পুলিশ সুপার সানা আখতার বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিভিন্ন থানাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট শাখাও নজরদারি করছে।” এর পরেও পরিবেশপ্রেমীদের একাংশের উদ্বেগ রয়েছে। ন্যাস গ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, ‘‘লুকিয়ে বাজি ফাটানোর প্রবণতা বন্ধে বাসিন্দাদেরও সবাইকে সচেতন হতে হবে।” অন্য একটি পরিবেশপ্রেমী সংস্থার সম্পাদক সুমন্ত সাহা বলেন, “বাড়িতে আতশবাজি পোড়ানো হলে তা বোঝা মুশকিল।” শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ গৌরপদ নায়েক বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে বায়ু দূষণ বাড়লে শ্বাসকষ্ট বাড়বে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Crackers Kali Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy