Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in North Bengal

‘লকডাউন যে সুরক্ষার জন্যই, বুঝছে না মানুষ’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩৬
Share: Save:

দেদার চলছে মোটরসাইকেল, টোটো, সাইকেল, রিকশা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা, দোকান-বাজার এমনকি, ব্যাঙ্ক ও গ্যাস সরবাহ কেন্দ্রের লাইনেও উপচে পড়ছে ভিড়। সোমবার দুপুর পর্যন্ত এমনই ছবি দেখি গেল মালদহে। অভিযোগ, লকডাউন উপেক্ষা করেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন সাধারণ মানুষের একাংশ। সচেতনতার প্রচার, ধরপাকড়, শাস্তি দেওয়ার পরেও মানুষ সচেতন না হওয়ায় এ বার উদ্বিগ্ন জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনে এখন পর্যন্ত জেলা জুড়ে গ্রেফতার হয়েছে তিন শতাধিক। পাঁচ শতাধিক বাইক আটক হয়েছে। নাকাচেকিং করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এমনকি, রাস্তায় নেমে লাঠিপেটা থেকে শুরু করে কানধরে ওঠবসও করানো হয়েছে মালদহে। আকাশে ড্রোন উড়িয়েও নজরদারি চালানো হয়েছে। আর এই ধরপাকড় ও শাস্তির পাশাপাশি নিয়ম করে চলছে সচেতনতার প্রচারও। মাইকিং করে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তার পরেও শহর থেকে গ্রাম- মালদহের সর্বত্র লকডাউনে দুপুর পর্যন্ত ভিড় থাকায় কপালে চিন্তার ভাঁজ জেলা পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পুলিশকে ফাঁকি দিতে বাড়ি থেকে কেউ কেউ পুরনো প্রেসক্রিপশন নিয়ে বার হচ্ছেন। অনেকে

দৈনিক বাজারের অজুহাত দিয়ে বার হচ্ছেন। লকডাউন যে মানুষের সুরক্ষার জন্যই করা হচ্ছে, অনেকেই বুঝতে পারছেন না।”

এ দিনও শহরের রথবাড়ি, মকদমপুর, কোঠাবাড়ি পুরবাজারে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব না মেনে ভিড় করেই চলছে কেনাবেচা। দূরত্ব বজায় রাখতে মুদির দোকানে সাদা গোল গণ্ডী কাটা থাকলেও সেখানেও থিকথিকে ভিড়। এই অবস্থা ব্যাঙ্ক, গ্যাস সরবরাহ কেন্দ্রগুলিতেও। ইংরেজবাজারের মতো প্রতিবেশী শহর পুরাতন মালদহ, হবিবপুর, বামনগোলা, গাজল, কালিয়াচক, মোথাবাড়ি সর্বত্রই একই ছবি। ব্যাঙ্কগুলিতে ভিড় করে চলছে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার টাকা তোলার কাজ। বাইরে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে গ্রাহকেরা। সঙ্গে উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস নিতেও উপচে পড়ছে ভিড়। মালদহের লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সুশান্তকুমার হালদার বলেন, “সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে তিন থেকে চারজন করে গ্রাহককে ব্যাঙ্কে প্রবেশ করানো হচ্ছে। স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত

পরিস্কার করতে বলা হচ্ছে। তবে বাইরের ভিড় আমাদের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।” মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “মানুষকে নিয়ম করে বোঝানো হচ্ছে। নিয়মিত জেলায় পুলিশি টহলদারি চলছে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy