শিকার: শনিবার রামগঞ্জের কদমগাছিতে গণপিটুনিতে আক্রান্ত হন পেশায় ফেরিওয়ালা এই যুবক। ফাইল চিত্র।
ছেলেধরা সন্দেহে গুজব চলছে ইসলামপুর মহকুমা জুড়েই। কোথাও গুজব তুলে ফেরিওয়ালাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কোথাও আক্রান্ত হয়েছেন ভবঘুরে। গত কয়েক দিনে ওই গুজব নিয়ে ছুটতে গিয়ে নাস্তানাবুদ পুলিশকর্মীরাও। গণপিটুনি নিয়ে সর্বোচ্চ আইন মৃত্যুদণ্ড থাকলেও গুজবে কেন এত মারধরের ঘটনা তা এখন বড় প্রশ্ন। যদিও প্রশাসনের দাবি এই গুজবের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার চলছে।
গ্রাম্য এলাকাতে ফেরিওয়ালা দেখলে সন্দেহ করছে এলাকার বাসিন্দারা। কোথাও কোথাও আবার ভিক্ষুক, ফেরিওয়ালা, মানসিক ভারসাম্যহীনদের উপরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই এলাকা জুড়ে এই গুজব চলছে। গত মঙ্গলবার ইসলামপুর শহরের নুরি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এক যুবককে আটকে রেখে মারধরের ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতে আবার পথ ভুলে যাওয়া এক দম্পতিকে রামগঞ্জে গণপিটুনির শিকার হয়। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর হয়। তবে কেন বারবার এই উত্তেজনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পুলিশকর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, বেশ কিছু এলাকাতে ওই গুজব ছড়িয়েছে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ছবি ভাইরাল হওয়াকে কেন্দ্র করেও ওই গুজব এত বেশি বলেও মনে করছে পুলিশ প্রশাসন। তবে গুজব রুখতে ইতিমধ্যে এলাকায় মাইকিং শুরু হয়েছে। এমনকি গ্রাম ভিত্তিক প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ আধিকারিকরা। ইসলামপুর পুলিশ জেলা পুলিশ সুপার সচিন মাক্কার বলেন, এলাকাতে প্রচার চলছেই। তবে গুজব বেশি ছড়ানোর জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, চোপড়া সহ কয়েকটি এলাকায় থানায় ওই বৈঠক হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলিতেও করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy