Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

আইএমএ-র কর্মবিরতিতে রোগীদের হয়রানি, বিক্ষোভ

এ দিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে কোনও চিকিৎসকই রোগী দেখেননি। ফলে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অন্তত দু’হাজার রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা না করাতে পেরে ফিরে গিয়েছেন।

দুর্ভোগ: আচমকা বন্ধ বহির্বিভাগ। হয়রান মালদহ মেডিক্যালে আসা রোগীরা।। নিজস্ব চিত্র

দুর্ভোগ: আচমকা বন্ধ বহির্বিভাগ। হয়রান মালদহ মেডিক্যালে আসা রোগীরা।। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
মালদহ শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৯ ০৮:০৫
Share: Save:

জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন বিলের প্রতিবাদে আইএমএর ডাকা দেশ জুড়ে চিকিৎসা কর্মবিরতির জেরে ভোগান্তির শিকার হলেন মালদহের বহু রোগী।

এ দিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে কোনও চিকিৎসকই রোগী দেখেননি। ফলে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অন্তত দু’হাজার রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা না করাতে পেরে ফিরে গিয়েছেন। এ দিকে, দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনও চিকিৎসকের দেখা না মেলায় বেশ কিছু রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিক্ষোভ দেখান বহির্বিভাগের সিস্টার ইনচার্জ কল্যাণী পালকে ঘিরে। কিন্তু তাতে সমস্যা মেটেনি। তবে এ দিন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও ইনডোরে পরিষেবা স্বাভাবিকই ছিল। অন্যদিকে, এ দিন মালদহের সমস্ত বেসরকারি নার্সিংহোমেও বহির্বিভাগ বন্ধ ছিল। প্রাইভেট চেম্বারেও রোগী দেখেননি চিকিৎসকরা। সব মিলিয়ে দুর্ভোগ চরমে ওঠে এ দিন।

মাসখানেকের বেশি সময় ধরে পেটে ব্যথা। গত ৮ জুলাই হাসপাতালের বহির্বিভাগে এসে ডাক্তার দেখিয়েছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ভালুকা রোডের বাসিন্দা সুফিয়া বিবি। তাঁকে পেটের আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ডাক্তার। হাসপাতাল থেকে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করার কথা ছিল এ দিন। আল্ট্রাসোনোগ্রাফির জন্য ভিড় হয় বলে মঙ্গলবার রাতেই স্বামীকে নিয়ে মালদহে চলে আসেন সুফিয়া। হাসপাতাল চত্বরে একটি শেডেই স্বামী-স্ত্রী রাত কাটান। এ দিন হাসপাতালের বহির্বিভাগের দরজা খুলতেই সকাল ৮টা নাগাদ আল্ট্রাসোনোগ্রাফি বিভাগের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন সুফিয়া। কিন্তু বেলা ১২টা পরেও ডাক্তার না আসায় ফিরে যেতে হয় তাঁদের। একইভাবে এ দিন আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করাতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মিলনগড়ের বাসিন্দা আলেপ নুর, নাইমুল হক, মোথাবাড়ির সাহেবা সুলতানারা। সকলেই হতাশ।

বামনগোলা থেকে পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে বহির্বিভাগে শিশু বিশেষজ্ঞ দেখাতে এসেছিলেন সালমা হেমব্রম। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও ডাক্তার না আসায় তিনি বলেন, ‘‘এ দিন যে পরিষেবা বন্ধ থাকবে সে ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। মেয়েকে নিয়ে এসেছিলাম মেডিক্যালে। দিনমজুরি করে সংসার চলে। আজ পুরো দিনটাই মাটি হল।’’ হাসপাতালে ডেপুটি সুপার জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘আমরা বহির্বিভাগ খুলে রেখেছিলাম। কিন্তু চিকিৎসকরা না আসায় পরিষেবা দেওয়া যায়নি।’’ আইএমএ-র মালদহ শাখার সম্পাদক চণ্ডীদাস বসাক জানিয়েছেন, এ দিন জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE