এগিয়ে অনীত থাপার দল। — ফাইল চিত্র।
পাহাড়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েতে বিরোধীদের চেয়ে মনোনয়ন পত্র জমায় এগিয়ে শাসক প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। দার্জিলিঙের গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ছ’শোর উপর প্রার্থী দিয়েছে অনীত থাপার দল। পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে প্রার্থী দেড়শোর উপরে। একই পরিস্থিতি কালিম্পং জেলাতেও। সেখানে পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি মিলিয়ে সাড়ে তিনশোর বেশি আসনে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রার্থীরা রয়েছেন।
বিজেপির নেতৃত্বে চলা ‘মহাজোটের’ নেতারা দার্জিলিঙে গ্রাম পঞ্চায়েতে সব মিলিয়ে সাড়ে পাঁচশোর মতো আসনে প্রার্থী দিয়েছেন। দেড়শোর কাছাকাছি প্রার্থী পঞ্চায়েত সমিতিতেও। তবে গোর্খা যৌথ মঞ্চ বা ‘মহাজোট’ কালিম্পঙে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। সেখানে বিজেপিই মূলত প্রার্থী দিয়েছে। বহু আসনে ‘মহাজোট’ সরাসরি প্রার্থী দিতে পারেনি। নির্দলদের সঙ্গে তাদের আলোচনাচলছে। তাঁদের পাশে সমর্থন জুগিয়ে ভোটে লড়তে পারেন জোটপন্থীরা। জোটের মধ্যে প্রার্থী দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে দার্জিলিঙে বিজেপির পরেই রয়েছে হামরো পার্টি। বিমল গুরুং বা মন ঘিসিংয়ের দল জিএনএলএফ অনেকটাই পিছনে। বহু ক্ষেত্রে তাঁরা প্রার্থীই দিতে পারেননি।
মনোনয়নপত্র জমার পরে, বৃহস্পতিবার রাতেই প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার তরফে ১৬টির মতো আসনে বিনা লড়াইয়ে জেতার দাবি করা হয়েছে। দলের নেতারা জানান, জোটের অন্যতম কারিগর বিমল গুরুং দার্জিলিঙে ৮৩ জন প্রার্থী খুঁজে পেয়েছেন। কালিম্পং তাঁরা কার্যত নেই। সেখানে হামরো পার্টিরও এক অবস্থা।দার্জিলিং জেলায় দ্বিস্তরীয় ক্ষেত্রে জিএনএলএফ ৭৮ জন, হামরো পার্টি ২৫৩, সিপিআরএম ১৪ জন প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপি ২৭২টি মনোনয়নপত্র জমা করেছে। কালিম্পঙে বিজেপির ১৭০ জন প্রার্থী আছেন। সেখানে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রার্থী সংখ্যা ৩৫২।
প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা বলেছেন, ‘‘দু’দশক পরে জনগণের সরকার ফিরছে। মানুষ আমাদের পাশেই থাকবেন। মনোনয়ন শান্তিতে হয়েছে, ভোটও উৎসবের মতো হবে।’’ তৃণমূল অনীতের পাশে থেকে নিজেরা খুব বেশি প্রার্থী দিতে পারেনি। দার্জিলিঙে গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৬টি,পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৩টি এবং কালিম্পঙে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে দল। দলের পাহাড়ের সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী বলেছেন, ‘‘আমাদের সাধ্যমতো পাহাড়ে লড়়ছি।’’
পাহাড়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় হুমকির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলত্যাগী জিটিএ সদস্য বিনয় তামাং। তাঁর দাবি, একশো দিনের জব-কার্ড নিয়ে নেওয়ার হুমকি, বিভিন্ন কাজ বন্ধ করার হুমকি শুরু হয়েছে। দ্রুত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছেন বিনয়। এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy