প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে, জলপাইগুড়ি জেলায় বিজেপির সংগঠনের হাল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে। নেপথ্যে রয়েছে দলের একটি ‘রিপোর্ট’, যা পাঠানো হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। বিজেপি সূত্রের দাবি, সে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলায় দু’হাজারেরও বেশি বুথের মধ্যে প্রায় চারশো বুথে কমিটিই গড়া যায়নি। কয়েকটি বুথে কমিটি হলেও, দলের জেলা নেতাদের একাংশের দাবি, “নামে মাত্র কমিটি হয়েছে।” বাকি আরও দু’শো থেকে তিনশো বুথে কমিটি হলেও, তাতে সাকুল্যে চার-পাঁচ জন রয়েছেন।
বিজেপির অন্দরের খবর, এমন রিপোর্টে কপালে চিন্তার ভাঁজ দলের জেলা নেতাদের এবং জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য নেতাদেরও। পঞ্চায়েত ভোট ‘কোনও মতে’ কাটানো গেলেও, তার পরের বছরে লোকসভা ভোট রয়েছে। তখন সংগঠনের হাল দেখতে কেন্দ্রের নেতারা আসবেন। দলের একাংশের মনে প্রশ্ন, তখন কী হবে! তবে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “আমরা সংগঠনভিত্তিক বুথের তালিকা তৈরি করেছি। সে রিপোর্ট সংবাদ মাধ্যমের হাতে যাওয়ার কথা নয়। তাই এ সব নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”
জলপাইগুড়ি জেলায় বিজেপির যে সাংগঠনিক মানচিত্র রয়েছে তাতে বুথের সংখ্যা দু’হাজার ছয়টি। দলের সাংগঠনিক শক্তির নিরিখে এর মধ্যে হাজারের কিছু বেশি বুথকে ‘অতি শক্তিশালী’ এবং ‘শক্তিশালী’ বলে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। বাকিহাজার খানেকের মতো বুথের অবস্থা ভাল নয় বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও এই বুথগুলিকে ‘মাঝারি’ এবং ‘দুর্বল’ ভাগে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘দুর্বল’ বুথের সংখ্যা অন্তত চারশো। এই বুথগুলিতে দলের কোনওরকম কমিটির অস্তিত্ব নেই, বলে রিপোর্টে মানা হয়েছে। দলের সূত্রের দাবি, এই বুথগুলির বেশিরভাগই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায়। সে কারণে এখানে বিজেপির কমিটি গড়ার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন উঠেছে, বিজেপির সংখ্যালঘুসেল রয়েছে। তারা কেন এই বুথে সক্রিয় হয়নি! বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি, দলের শাখা সংগঠনগুলির মধ্যে সমন্বয় না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
দুর্বলের সামান্য উপরে রয়েছে ‘মাঝারি শক্তির’ বুথ। এই বুথগুলিতে কমিটি রয়েছে। তবে কমিটিতে সদস্য সংখ্যা চার-পাঁচ জনের বেশি নয়। অথচ, ‘শক্তিশালী’ বুথ যেখানে সংগঠন ভাল, সেখানে কমিটিতে ১১ থেকে ১৫ জন করে রয়েছেন। বিজেপির জেলা নেতাদের দাবি, শক্তিশালী বুথে পঞ্চায়েত ভোটে ভাল লড়াই হবে। অন্য দিকে, দলেরই অন্দরের দাবি, ‘দুর্বল’ বুথগুলিতে প্রার্থী করার মতো লোক খুঁজে পাওয়াই সমস্যা।
তবে বিজেপি জেলা সভাপতির দাবি, “একটি শক্তি বিজেপিকে লঘু করে দেখানোর চক্রান্ত করছে। কিন্তু তারা যে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে, তা আগামী পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটে প্রমাণ হবে। কারণ, আমরা মানুষের সঙ্গে রয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy