Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Recruitment Scam

একমাত্র শিক্ষকের চাকরিই চলে গিয়েছে আদালতের নির্দেশে, কোচবিহারের স্কুলে লেখাপড়া লাটে

স্কুলের একমাত্র শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার পর বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীকে পাশের দলনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন অভিভাবকেরা। গুটি কয়েক ছাত্রছাত্রীর নাম এখনও খাতায়-কলমে ওই স্কুলেই লেখা রয়েছে।

image of closed school in Coochbehar

তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে পাটছাড়া গোপালপুর জুনিয়র হাই স্কুলের ক্লাসঘর। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:০৩
Share: Save:

স্কুল রয়েছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রী নেই। তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্কুলের ক্লাসঘর। বেশির ভাগ ছাত্র অন্য স্কুলে নাম লিখিয়েছে। যারা পড়ে রয়েছে, তারা আর স্কুলে আসে না। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতের নির্দেশে স্কুলের একমাত্র শিক্ষক এবং একমাত্র গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। তার পরেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে মাথাভাঙ্গা ১ নম্বর ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটছাড়া গোপালপুর জুনিয়র হাইস্কুল।

স্কুলের একমাত্র শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার পর বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীকে পাশের দলনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন অভিভাবকেরা। গুটি কয়েক ছাত্রছাত্রীর নাম এখনও খাতায়-কলমে ওই স্কুলেই লেখা রয়েছে। যদিও তারা স্কুলে পড়তে আসে না। পাটছাড়া গোপালপুর জুনিয়র হাইস্কুলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এখন অন্য এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। এই পরিস্থিতিতে স্কুলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শিক্ষকশূন্য স্কুলে আদৌ কি কোনও শিক্ষক আসবেন? না কি শিক্ষকের অভাবে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে স্কুলটি? এই চিন্তাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে।

স্কুলের দায়িত্বে থাকা অন্য একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বর্মন জানান, গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি ওই স্কুলের পড়ুয়াদের ক্লাস করাতেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই স্কুলের শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় অভিভাবকেরা ছেলেমেয়েদের আর স্কুলে রাখতে চাননি। পাশেই দলনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। বেশ কয়েক জন ছাত্রছাত্রী এখনও অন্য কোথাও ভর্তি হয়নি। যদিও তারা স্কুলে আসছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিস বর্মন বলেন, ‘‘স্কুলে কোনও ক্লাস হচ্ছিল না। ছাত্রছাত্রীরা শুধু স্কুলে যেত, মিড-ডে মিল খেয়ে চলে আসত। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে।’’ আশিসের ভাইও ওই স্কুলেই পড়ত। তাকে পাশের দলনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। মাথাভাঙ্গা ৩ নং সার্কেলের এসআই মতিউর রহমান বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শিক্ষক নিয়োগ হলে পুনরায় ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ভর্তি হবে বলে আশা রাখি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Recruitment Scam Primary School Coochbehar Teacher Job
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy