Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

শহরে ধৃত বরো জঙ্গি

পুলিশ সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির সংলগ্ন এলাকায় ঘাঁটি করার আগে সিমন উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে ছিল।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ০৪:৩০
Share: Save:

দীর্ঘ দিন পালিয়ে থাকার পরে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল মেঘালয়ের এক বরো জঙ্গি। রবিবার গভীর রাতে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের অন্তর্গত এনজেপি থানার পুলিশের সাহায্যে পলাতক ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় পুলিশ। রাজগঞ্জের বাড়িভাসার একটি বাড়ি থেকে তাকে ধরা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মেঘালয় ছাড়াও উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ, অস্ত্র ব্যবসা, তোলাবাজির মত একাধিক অভিযোগ রয়েছে বছর তেইশের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দু’বছর ধরে সে ফেরার ছিল। ধৃত সিমন জি মোমিনের বাড়ি মেঘালয়ের শিলং-এর পশ্চিম খাসি হিলসে। দু’মাস আগে বাড়িভাসার একটি বিস্কুট কারখানায় সাধারণ শ্রমিকের কাজ নিয়ে ঘর ভাড়া করে লুকিয়ে ছিল সিমন।

পুলিশ সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির সংলগ্ন এলাকায় ঘাঁটি করার আগে সিমন উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে ছিল। সে দিল্লির দিকেও গিয়েছিল বলে সন্দেহ পুলিশের। এনজেপি স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সহজেই পালানো সম্ভব বলে এই এলাকায় এসে আশ্রয় নেয়। গত বৃহস্পতিবার শিলং পুলিশের বিশেষ টাক্স ফোর্স সিমনের শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকায় লুকিয়ে থাকার খবর পায়। রবিবার রাতে শিলং থেকে মেঘালয় পুলিশের একটি বিশেষ দল শিলিগুড়ি আসে। এনজেপি পুলিশের সাহায্যে রাতে বাড়িভাসা এলাকায় হানা দিয়ে ওই জঙ্গিকে ধরা হয়েছে।

সোমবার মেঘালয় পুলিশের একটি দল সিমনকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করে। সেখান থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে শিলং নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘গত কয়েক দশক ধরেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিদের সেফ করিডর এবং ট্রানজিট রুট হিসাবে পরিচিত শিলিগুড়ি। আলফা থেকে বরো, মাওবাদী, কেএলও, নাগা জঙ্গি শিলিগুড়িতে ধরা পড়েছে। সিমনের এই অঞ্চলে নিছক লুকিয়ে থাকা না কি অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল তা দেখা হচ্ছে।’’

পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা দফতর সূত্রের খবর, শিলং-র খাসি হিলস আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। কুখ্যাত কিছু সমাজবিরোধীর জন্যও এলাকাটি পরিচিত। মেঘালয়ে কোনও পর্যটক গেলে এলাকাটি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। ওই এলাকায় কয়েকটি বরো জঙ্গি সংগঠন রয়েছে। নাগা, মনিপুরী, এনডিএফবি এবং আলফা’র মত সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তারা কাজ করে বলে পুলিশ জানাচ্ছে। মূলত অপহরণ, মাদক ও অস্ত্রের কারবার এবং তোলাবাজির জন্য বরো জঙ্গিরা পরিচিত। সিমনের বিরুদ্ধে এমনই একাধিক মামলা সে রাজ্যে রয়েছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি বা সংলগ্ন এলাকায় সিমনের আরও কোনও সঙ্গী বা লিঙ্কম্যান রয়েছে কি না তা তদন্তকারী অফিসারেরা খতিয়ে দেখছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Terrorism Bodo Terrorist
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy