আশ্রয় বলতে মাথার উপর ফুটিফাটা টিনের ছাউনি। সারাবার টাকাটুকুও নেই। এক সময় বাগানে শ্রমিকের কাজ করলেও বয়সের ভারে এখন সেই শক্তিও হারিয়েছেন। পড়শিরা যে যা দেন, তা দিয়েই চলে তাঁর। তবে প্রায়শই অর্ধাহারেই দিন কাটাচ্ছেন ইসলামপুরের পণ্ডিতপোতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জ্যাঠেশ্বরী নাথ। বয়সের কারণে মেলেনি লক্ষ্মী ভান্ডার। আবেদন করেও জোটেনি বার্ধক্য ভাতা বলে অভিযোগ। তবে বিষয়টি জানতে পেরে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ইসলামপুরের মহকুমাশাসক আব্দুল শাহিদ।
ইসলামপুরের পণ্ডিতপোতার কালিবাড়ি এলাকাতে দীর্ঘদিন রয়েছেন ওই মহিলা। এক সময় চা বাগান, ধানের জমিতে শ্রমিকের কাজ করলেও একন আর পারেন না। কিছুদিন লোকের বাড়িতে কাজ করলেও এখন সেই শক্তিটুকুও নেই। ঘর বলতে তিন দিক খোলা। মাথার উপরে শুধু টিনের ছাউনি। তাও শিলাবৃষ্টিতে চৌচির হয়ে গিয়েছে। এক ছেলে থাকলেও তিনি মায়ের কোনও দায়িত্ব নেন না বলেই দাবি জ্যাঠেশ্বরীর।
ঝড়, জল বৃষ্টি থেকে বাঁচতে বাড়ির পাশের এক আত্মীয়ের বাড়িতেই রাতে আশ্রয় নেন তিনি। জ্যাঠেশ্বরী বলেন, ‘‘যখন যা পাই তা খেয়েই দিন চলে। সরকারি বাড়ি, বৃদ্ধ-ভাতা পেলে উপকারই হত। এ ভাবে লোকের দরজায় দরজায় ঘুরতে হত না।’’
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্চয় কীর্তনীয়া বলেন, ‘‘যখনই পারি আমরা ওঁকে হযোগিতা করি। কিন্তু এভাবে তো হয় না। ওঁর বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদনও করেছিলাম। এখনও তা মেলেনি। প্রশাসন সহযোগিতা করলে উপকৃত হতেন ওই বৃদ্ধা।’’
ইসলামপুরের মহকুমাশাসক আব্দুল শাহিদ বলেন, ‘‘বৃদ্ধার বিষয়টি বিডিওকে দেখতে বলা হয়েছে। আপাতত ওঁর খাবারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’