—ফাইল চিত্র
বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের পাশ থেকে সরে এসে তৃণমূলে যোগ দিয়ে এ বার সরাসরি কলকাতায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জিটিএ-র অস্থায়ী কর্মীরা। এত দিন বেশিরভাগ সময়ই তাঁদের হয়ে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসতেন জিটিএ কর্তৃপক্ষ অথবা মোর্চা নেতৃত্ব। দীর্ঘদিন পর তা বদলাতে চলেছে। কর্মী সংগঠন ইউনাইটেড এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা কলকাতায় যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। সংগঠন সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকের দিন চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি চলছে। তৃণমূলের পাহাড়, সমতলের নেতাদের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।
এ মাসের শুরুতে নবান্নে মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিবকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই জিটিএ-র অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠনের অধিকাংশ সদস্য বিনয়, অনীতদের সঙ্গ ত্যাগ করেন। তাঁদের বক্তব্য, বিনয়, অনীতেরা তাঁদের দাবি পূরণ করতে পারেননি। সেই সময় মোর্চার বিনয়পন্থীদের সমর্থনে জিটিএ কর্মী ইউনিয়ন নামের আরেকটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। এর পরেই পাহাড়ের সরকারি কর্মীরা ঘোষণা করেন, তাঁরা সরাসরি শাসক দলে যোগ দিচ্ছেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সুভাষ ছেত্রী বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমরা ভরসা রেখেছি। এ বার সংগঠনের নেতৃত্বই কলকাতায় দিয়ে বৈঠকে বসবেন। মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকের দিনক্ষণও ঠিক হচ্ছে।’’
মোর্চা সূত্রের খবর, সরকারি কর্মীদের মধ্যে বিভাজনে বড় অংশের সঙ্গে তৃণমূল সরাসরি জুড়ে যাওয়ায় বিনয় তামাং, অনীত থাপারা প্রথমে ঘনিষ্ট মহলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তবে প্রকাশ্যে কিছু বললেনি। বিনয়পন্থী মোর্চা নেতৃত্বের একাংশ মনে করেছেন, তৃণমূল সামনে থাকলেও এই বিভাজনের পিছনের মস্তিষ্কটি বিমল গুরুংয়েরও হতে পারে। কর্মীরা স্থায়ী হলে পাহাড়েরই লাভ। তাই এই নিয়ে বিনয়দের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতের সম্ভাবনা নেই।
জিটিএ সূত্রের খবর, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলা মিলিয়ে জিটিএ-তে বর্তমানে ৪৪৯৩ জন কর্মী আছেন। এর ৩ হাজারের মতো কর্মী কালিম্পং, দার্জিলিং, মিরিক মিলিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে গিয়েছে। কার্শিয়াং, তরাই মতো এলাকার কিছু কর্মীরা বিনয়, অনীতের সমর্থনে তৈরি সংগঠনের সঙ্গে আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy