Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Heavy rainfall

জলঢাকা ও তিস্তায় লাল সতর্কতা,  অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

সকালেই দোমহানি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় ‘হলুদ সতর্কতা’ জারি হয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ রূপ তিস্তার, জারি হল লাল সর্তকতা।

টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ রূপ তিস্তার, জারি হল লাল সর্তকতা। ছবি - সন্দীপ পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ০৯:০৫
Share: Save:

পাহাড় এবং সমতলে এক সঙ্গে চলছে টানা বৃষ্টি। ফলে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার— তিন জেলার সব নদী-ই কানায় কানায় ভর্তি। ভরা নদীর পার ভাঙতে শুরু করেছে। যদিও বাঁধের ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও নেই। সেচ দফতরের আশঙ্কা, নদীতে জল বাড়তে থাকলে, বাঁধের ক্ষতি হতে পারে। শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা এবং জলঢাকা নদীতে ‘লাল সতর্কতা’ জারি হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ থেকেও স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি জল ছাড়া হচ্ছে। ভারী থেকে অতিভারী এবং অতিরিক্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির নিরিখে উত্তরবঙ্গের উত্তর অংশে ‘লাল সতর্কতা’ জারি রয়েছে।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “মৌসুমী অক্ষরেক্ষার অবস্থানের কারণে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শুক্রবার সারা দিনই লাল সতর্কতা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পরে, কমলা সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ, ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরের দিন হলুদ সতর্কতা অর্থাৎ মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সিকিমেও বৃষ্টি চলছে। জল বাড়ছে।”

এ দিন সকালেই দোমহানি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় ‘হলুদ সতর্কতা’ জারি হয়েছে। মেখলিগঞ্জে তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকা এবং জলঢাকা নদীর এনএইচ ৩১ পয়েন্টে ‘লাল সতর্কতা’ জারি করেছে সেচ দফতর। এ দিন তিস্তা ব্যারাজ থেকে তিন হাজার কিউমেকের বেশি জল লাগাতার ছাড়া হয়েছে। সেচ দফতরের দাবি, সিকিম পাহাড় থেকে অস্বাভাবিক জল নামার ফলে, ব্যারাজের থেকে জল ছাড়ার পরিমাণও বাড়াতে হয়েছে।

নদীতে জল বাড়তেই পার ভাঙতে শুরু করেছে। ফলে, বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তিন জেলায়। তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, সঙ্কোশ, রায়ডাক— সব নদীর পার ভাঙছে। সেচ দফতরের মুখ্য বাস্তুকার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, “সব নদীর পার ভাঙছে। এক সঙ্গে নদীগুলির পার ভাঙতে শুরু করায় বোল্ডার, বালির বস্তার জোগান পেতে সমস্যা হচ্ছে।” সম্প্রতি লিস নদীর বাঁধ ভেঙেছিল। সেচ দফতর জানিয়েছে, সেটি ‘গাইড বাঁধ’। মূল বাঁধের রক্ষাকারী অংশ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বাঁধ সংস্কারের কাজ করছে। তবে তিস্তার গতিপথ পরিবর্তনের ফলে, সেবকের কাছে কয়েকটি জনপদ থেকে জল বেরোচ্ছে না, যা নিয়ে চিন্তায় সেচ দফতর।

অন্য বিষয়গুলি:

Teesta River
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy