জ্বর পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্ণণ নেই। উত্তর দিনাজপুরের জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মালদহে রোগী বেশি থাকায় এক শয্যায় দু’জন রোগীকে থাকতে হচ্ছে। এমনকী, মেঝেতে রেখেও অনেকের চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল সূত্রের দাবি, প্রতিদিন গায়ে জ্বর নিয়ে শতাধিক রোগী বর্হিবিভাগে আসছেন। বর্তমানে রায়গঞ্জ হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ৩০ জন পুরুষ ও মহিলা রোগী ভর্তি রয়েছেন। উল্লেখ্য, দু’টি ওয়ার্ডে ৫০টি করে মোট ১০০টি বেড রয়েছে। ফলে জ্বরে আক্রান্ত বাড়তি রোগীর চাপে গত দু’সপ্তাহ ধরে বেডের অভাবে রোগীদের একাংশকে মেঝেতে শুইয়ে রেখে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বাধ্য হচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সমস্যায় পড়ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
হাসপাতাল সুপার গৌতম মণ্ডলের অবশ্য দাবি, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছরই অক্টোবর-নভেম্বরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চাপ বাড়ে। তিনি বলেন, ‘‘সন্দেহের ভিত্তিতে গত দু’সপ্তাহে জ্বরে আক্রান্ত প্রায় ৪০ জন রোগীর রক্তপরীক্ষা করানো হয়েছে।’’ পরীক্ষায় কারও শরীরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, জাপানি এনসেফ্যালাইটিস-সহ কোনও রোগের জীবাণু মেলেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধাও দাবি করেন, ‘‘সরকারি পরীক্ষায় জেলায় এখনও পর্যন্ত কোনও রোগীর শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মেলেনি।’’ জ্বর নিয়েই রায়গঞ্জ হাসপাতালে বহু রোগীকে মেঝেতে শুয়ে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তাঁদের পরিজনেরা।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২ হাজার ৪১১ জনের রক্ত পরীক্ষায় ৫১১ জনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এখন ২৪ জন ডেঙ্গি রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে নতুন করে কোনও ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী মঙ্গলবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হননি। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অমিত দাঁ বলেন, ‘‘এই জেলার সঙ্গে পাশের দুই জেলার রোগীরাও রয়েছেন।’’ জ্বরে আক্রান্ত বেশ কিছু রোগীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy