এই সেই স্লিপ। দেখানো রয়েছে সময়। নিজস্ব চিত্র
হাতে লেখা ঘন্টা-মিনিটের হিসাবের জেরে প্রায়শই পার্কিং ফি নিয়ে যাত্রী, চালকদের সঙ্গে গোলমাল হত বাগডোগরা বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মীদের। যাত্রীদের নামিয়ে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় হলেও এক ঘন্টার হিসাবে পার্কিং ফি নেওয়া হত বলে অভিযোগ। সেখানে পার্কিং স্লিপে হাতে লেখা সময়ের জন্য পাঁচ মিনিট বা চার মিনিট তা নিয়ে অনেক সময়ই চলত বচসা। অবেশেষে ঘোষণা মত, সোমবার থেকে প্রথমবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে চালু হয়ে গেল ডিজিট্যাল টাইমার-সহ পার্কিং ফি ব্যবস্থা। তাতে কমিয়ে আনা হয়েছে পার্কিং ফি-ও। কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থা পার্কিং জোনে সিসিটিভি, বডিক্যাম, ম্যানপাক সহযোগে নিরাপত্তা কর্মীদের দিয়ে গোটা ব্যবস্থাটি আগামী পাঁচ বছর সামলাবে। নতুন ব্যবস্থায় খুশি পর্যটন শিল্প থেকে শিল্প বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতরাও।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সুব্রমণী পি বলেন, ‘‘যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং পরিষেবা বাড়াতে নতুন ব্যবস্থা চালু করতে পেরে আমরাও খুশি। নিয়মিত এবার থেকে পার্কিং এলাকায় নজরদারি চলবে। বাইরের গাড়ি এসে পার্কিং এলাকায় যাতে অযথা ভিড় না করে তা পুলিশকে দেখতে বলা হয়েছে।’’
গত রবিবার অবধিও যাত্রীদের নামিয়ে গাড়ি বার করতে ৫ মিনিটের বেশি সময় হলেই ঘন্টার হিসাবে চালককে ৫৫-৬০ টাকা দিতে হত। ঘড়ি এবং পার্কিং স্লিুপের লেখা নিয়ে চালকদের সঙ্গে পার্কিং কর্মীদের গোলমাল হত। নতুন ব্যবস্থায় যাত্রীদের বিমানবন্দরের টার্মিনালের সামনে গাড়ি থেকে মালপত্র নামানোর জন্য ৩ মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে। তার পরে হলে আধঘন্টার জন্য গাড়ি, টেম্পো, এসএইভি, মিনি বাসের জন্য আধঘন্টায় ২০ টাকা, বাস, ট্রাকের জন্য ৩০ টাকা। আধঘন্টার পর দুই ঘন্টার জন্য গাড়ির মডেলের হিসাবে ৫৫-৬০ টাকা নেওয়া হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি গাড়ি, সিআইএসএফ এবং এয়ারপোর্ট অথারিটির গাড়ির জন্য কোনও ফি নেই। বিমানবন্দরের কর্মীদের বাইকের জন্য মাসে ২৫০ টাকা এবং গাড়ির জন্য ৫০০ মাসিক ফি ঠিক হয়েছে।
প্রায়শই সংগঠন-সহ নানা কাজের বাগডোগরা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যান ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি বিজয় গোপন চক্রবর্তী। নতুন পার্কিং ব্যবস্থার চালুর পর তিনি জানান, ক’দিন আগেও সামন্য কয়েক মিনিটের জন্য আমাদের কাছ থেকে ঘন্টার হিসাবে টাকা নেওয়া হয়েছে। নতুন ব্যবস্থা ভাল হয়েছে ঠিকই, তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে তাতে টানা নজর রাখতে হবে। আবার পর্যটন, পরিবহণ এবং হোটেল মালিকদের সমন্বয়ে গঠিত হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরজিম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘বাগডোগরার পার্কিং ব্যবস্থা, ফি নিয়ে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ আসত। এতে এলাকা সম্পর্কে পর্যটন মহলে খারাপ বার্তা যাচ্ছিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সঠিক সময়ে পদ্ধতি বদল করে সটিক কাজ করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy