—প্রতীকী চিত্র।
কোচবিহারের মাথাভাঙার রুইডাঙা এলাকায় বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্যাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা নিয়ে চাপানউতর অব্যাহত। শনিবার নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। আর রবিবার তাঁর বাড়িতে গেলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের এক সদস্যা। তিনি ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলার পরে সার্কিট হাউসে ফিরে যান তিনি। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা বেলিনা কংবুপের দাবি, ‘‘এই ঘটনায় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে পারিবারিক গন্ডগোলের অভিযোগ। আমরা রাজনৈতিক কারণ দেখতে যাব না। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল, উনি এক জন মহিলা। তাঁর সম্মানহানির অভিযোগ উঠেছে।’’ অন্য দিকে, তৃণমূল দাবি করেছে, কোচবিহারকাণ্ডকে রাজনৈতিক বলে অপব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে বিজেপি।
কয়েক দিন আগে মাঠে ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন ওই বিজেপি নেত্রী। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে গালিগালাজ করে মারধর করেন কয়েক জন মহিলা। এমনকি, তাঁকে বিবস্ত্র করেও পেটানো হয়। এ নিয়ে ঘোকসাডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পুলিশি তদন্ত চলছে। যদিও এই পুরো ঘটনায় জুড়েছে রাজনৈতিক রং। পদ্মশিবির দাবি করেছে, বিজেপি করেন বলেই মহিলাকে হেনস্থা করা হয়েছে। তারা পুরো ঘটনার সঙ্গে শাসকদলকে জড়িয়ে এ-ও অভিযোগ করেছে যে, শুধু মহিলারাই নন, হেনস্থায় ছিলেন পুরুষরাও। তা ছাড়া পুলিশি তদন্তে আস্থা নেই বলে জানিয়েছে পদ্মশিবির। অগ্নিমিত্রা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে কোচবিহারের আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি। আগেই তাঁর সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্ব।
দুপুরে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা হিন্দিতে বলেন, ‘‘এখনই কোনও মূল্যায়নে যাচ্ছি না। নির্যাতিতার সঙ্গে আমাকে আরও কথা বলতে হবে। তাঁর পরিবারের সবাই বাংলায় কথা বলেন। আমি যতটুকু বুঝেছি, ওঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নির্যাতিতার মা বলেছেন, ‘আমাদের শান্তি চাই।’ পুলিশকে আমি সেটা জানিয়েছি। ওঁদের সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।’’
অন্য দিকে, কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের দাবি, পারিবারিক বিবাদকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিক মোড় দিতে চাইছে বিজেপি। এখানে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নন। তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে কোচবিহারে এত বড় জয়ের পরে জেলায় কোথাও কোনও গন্ডগোল হয়নি। ছোট কোনও ঘটনার কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু বার বার এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপির বিবাদ বলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। এটা বেদনাদায়ক।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই রকম একটা বিশ্রী কুৎসা করা হচ্ছে কেন? কোচবিহারের মানুষ এ বার তৃণমূলকে জিতিয়েছেন বলে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy