কেঁদে ফেলেন নান্টু পাল। নিজস্ব চিত্র
পর্যটনমন্ত্রীর কথা ‘আত্মসম্মানে লাগায়’ কেঁদে ফেললেন নান্টু পাল। বৃহস্পতিবার হাকিমপাড়ার খেলাঘর মোড়ে নিজের বাড়িতে বসে সংবাদ মাধ্যমকে সেই অসম্মানের কথা জানাতে গিয়ে তিনি কেঁদে ফেলেন। তাঁর দাবি, বিধান মার্কেটের আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান নির্মাণ দেখতে গিয়েছিলেন। অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে মন্ত্রী ক্ষোভ দেখিয়ে প্রকাশ্যে জানান, এ সব করে কিছু লোক কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছে। মন্ত্রীর সঙ্গে নান্টুও ছিলেন। অনেকেই দাবি করেন, এলাকাটি যেহেতু নান্টু এবং তাঁর স্ত্রীয়ের, তাই ইঙ্গিত ছিল তাঁদের দিকেই। এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে নান্টু এবং তাঁর স্ত্রী মঞ্জুশ্রী জানান, তাঁদের আত্মসম্মানে লেগেছে। এর পরেও বুধবার মন্ত্রী জানান, তিনি কাউকে উদ্দেশ্য করে বলেননি। নান্টু ‘ঠাকুর ঘরে কে আমি কলা খাইনি’র মতো কথা বলছেন। এ নিয়েই জোর চর্চা চলছে শহরে। বৃহস্পতিবার সে প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন নান্টু পাল।
তিনি বলেন, ‘‘প্রকাশ্যে মন্ত্রীর এটা বলা ঠিক হয়নি। তিনি মন্ত্রী হওয়ায় আমরা সকলেই তাঁর অধীনে। তিনি ডেকে বলতে পারতেন। দলে আলোচনা করতে পারতেন। অবৈধ নির্মাণ ভাঙতেন। কখনওই তাঁর বিরুদ্ধে যাওয়ার কথা বলিনি। কিন্তু তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে আমি ছিলাম। তিনি আমার দিকে হাত দেখিয়ে বলছেন মনে হচ্ছে। তাঁর শরীরী ভাষা ঠিক ছিল না।’’ পর্যটনমন্ত্রী পাল্টা বলেন, ‘‘কোনও কাউন্সিলর কী বলল, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলব না। যা আলোচনা দলেই হবে। আমি যা করি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে তাঁর নির্দেশ নিয়ে করি।’’
নান্টুও এ দিন বলেন, ‘‘আমি কারও ‘চাকর-বাকর’ নই। জনগণ ভোট দিয়ে জিতিয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত আগে ২০০৫ সালেও হয়েছে। এখন ফের হচ্ছে। তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। স্কুটিতে নানা দিকে ঘোরেন। এখন সে ভাবে বার হতে চিন্তা হচ্ছে। বাইরে বেরোলে গাড়ি নিয়েই বার হবেন বলে ভাবছেন, জানান তিনি।
যখন আগুন লেগেছিল, তখন নান্টু মন্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে সাতটি দোকান পুড়ে যায়। নান্টুর কথায়, মন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন সাতটি দোকানের জায়গায় ২০টি দোকান হচ্ছে কী করে? সেখানে ২০টি দোকানই ছিল বলেই জানেন। মন্ত্রী তিন ফুট ভিতরে চেপে দোকান তৈরি করতে নিজেই বলে গিয়েছিলেন। এখন তিনি বলছেন ২০টি দোকান এসজেডিএ তৈরি করে দেবে। সাতটা দোকানই যদি থাকে, তা হলে কী ভাবে এসজেডিএ ২০টি দোকান করবে, প্রশ্ন নান্টুর? তাঁর দাবি, মন্ত্রীকে কেউ ভুল তথ্য দিয়েছে। দোতলা দোকান নির্মাণের ক্ষেত্রেও তাঁর মত ছিল না বলে নান্টু এসজেডিএ কর্তৃপক্ষকে তা জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। নাগরিক কনভেনশনে বলতে দিলে তিনি সমস্তই বলবেন। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘সারা শিলিগুড়ি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। মহানন্দার চর বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো দেখা হোক। টাকা নিয়ে স্বর্গে যাব না। সম্মানটাই আসল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy