Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Islampur And Chopra

কেন বার বার শিরোনামে ইসলামপুর আর চোপড়া?

বুধবারের ঘটনায় মুজিবর রহমান নামে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার জবি টমাস জানিয়েছেন, জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এই ঘটনা।

—প্রতীকী চিত্র।

অভিজিৎ পাল
ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪ ০৭:১৩
Share: Save:

হিংসাত্মক ঘটনার সূত্রে বার বার নাম উঠে আসছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ও চোপড়ার। যুবক-যুবতীকে মারধরের ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই ধাবায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামীকে গুলি করে খুনের ঘটনা এবং এ বার জমি-বিবাদের জেরে এক জনের মৃত্যুর ঘটনা। প্রতিটি ঘটনাতেই নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের, যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তা মানতে নারাজ।

বুধবারের ঘটনায় মুজিবর রহমান নামে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার জবি টমাস জানিয়েছেন, জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এই ঘটনা। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা দোষীদের শাস্তি চেয়েছেন। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।

এ দিনের জমি নিয়ে বিবাদে মূল অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য হুসনারা বেগমের স্বামী মহম্মদ ফারাজউদ্দিন কমলাগাঁও সুজালি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হকের এক সময়ের অনুগামী হিসাবে পরিচিত। সম্প্রতি আব্দুলের এক ভাইকে জমি দখল-সহ একাধিক মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। ফারাজউদ্দিন পরে আব্দুল হকের শিবির ছেড়ে যোগ দেন আব্দুল সাত্তার এবং জাহেদুল রহমানদের শিবিরে। জাহেদুল জেলা পরিষদ সদস্য মৌসুমি খাতুনের স্বামী এবং তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের শিবিরের বলে দাবি। বার বার কেন ইসলামপুর-চোপড়ায় গোলমাল মাথাচাড়া দিচ্ছে? বিরোধীদের অভিযোগ, এলাকা দখল অন্যতম কারণ এবং তা নিয়ে সক্রিয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে ‘বিবেকবান’ হওয়ার বার্তা দেওয়ার পরেও বুধবার ইসলামপুরের কমলাগাঁও সুজালি পঞ্চায়েতের মৌলানি গ্রামের বিবাদ ও মৃত্যুতে উঠে এসেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নাম।

বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সহ-সভাপতি সুরজিৎ সেনের বক্তব্য, ‘‘বছর-দুয়েক ধরে এলাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটল। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিচ্ছে।’’ যদিও তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, ‘‘এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারণ নেই। পুরোটাই জমি নিয়ে বিবাদ।’’ কী বলছেন জনপ্রতিনিধিরা? ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘‘ওই এলাকাটি ইসলামপুর থানার অধীন হলেও চোপড়া বিধানসভার অন্তর্গত। সেখানকার বিধায়ক হামিদুল রহমান। তবে, এই ধরনের ঘটনা কখনওই কাম্য নয়। আগেই পঞ্চায়েতের দেখা উচিত ছিল।’’ এ বিষয়ে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের বক্তব্য, ‘‘কী হয়েছে, জানা নেই। তবে ওখানে কোনও গোলমাল হলেই এলাকাটিকে চোপড়ার বিধানসভা হিসাবে ধরা হয়। আবার, ভোটের ফল ভাল হলে ইসলামপুর হিসাবে দেখানো হয়। এটা ঠিক নয়।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Islampur Chopra Mob Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE