অভিনেত্রীর দেখা না মেলায় জনসভা ছেড়ে বাড়ির পথ ধরলেন বাসিন্দারা। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।
অপেক্ষাই সার। শেষ পর্যন্ত এলেন না রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা বলিউড অভিনেত্রী নগমা। অভিনেত্রীকে দেখতে এসেও তাই হতাশ হয়েই ফিরতে হল বাসিন্দাদের।
বৃহস্পতিবার জোটপ্রার্থীর সমর্থনে মালদহের রতুয়ার চাঁদমণি এলাকার আন্ধারুতে একটি জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সভায় হাজির ছিলেন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী, প্রার্থী সমর মুখোপাধ্যায় সহ বাম নেতারা। কিন্তু হেলিকপ্টার বিভ্রাটে নগমা আসতে পারছেন না জানিয়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেরাই সভা সারলেন জোটের নেতারা। সাংসদ আবু হাসেম চৌধুরী বলেন, ‘‘কপ্টার বিভ্রাটের জন্যই নগমা এসে পৌঁছাতে পারেননি। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। বাসিন্দারা সমস্যাটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন।’’
এ দিন আন্ধারু এলাকায় আরআই দফতর সংলগ্ন ময়দানে ওই জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। জোটপ্রার্থী সমর মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে আয়োজিত এই সভায় অভিনেত্রীকে দেখতে হাজির হয়েছিলেন অনেকেই। দুপুর একটা নাগাদ জনসভায় আসার কথা ছিল তাঁর। এর পরও প্রায় ঘণ্টাদুয়েক অপেক্ষার পর সভা ছেড়ে বাড়ির পথ ধরেন বাসিন্দারা। জোটের নেতারা অবশ্য কর্মসূচি মাফিকই সভা করেন।
এ দিন পূর্ণিয়া থেকে হেলিকপ্টারে আসার কথা ছিল নগমার। কিন্তু হেলিকপ্টারে বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় তিনি রতুয়ায় পৌঁছাতে পারেননি বলে দলীয়
সূত্রের খবর।
এদিনের সভায় ফের রায়গঞ্জে এইমস না হওয়ার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেন আবু হাসেম খান চৌধুরী(ডালু)। তিনি বলেন, ‘‘ওই হাসপাতাল হলে উত্তরবঙ্গের মানুষের চিকিত্সা পরিষেবায় বিপ্লব ঘটত। আমরা জমি কিনে তা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাধায় তা বাস্তবায়িত হয়নি।’’ এছাড়া সারদা থেকে নারদ প্রসঙ্গ তুলেও শাসকদলকে বিঁধেছেন তিনি।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুশান্ত সিংহ দাবি করেন, জোটের হাত ধরেই এবার রাজ্যে পালাবদল ঘটবে।
রতুয়া-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ফজলুল হকের দাবি, ‘‘রতুয়ায় কংগ্রেস দিন কে দিন মাটি হারাচ্ছে। তাই অভিনেত্রী আসবেন বলে ভাঁওতা দিয়ে সভা ভরাতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু নগমার নামেও জনসভা ভরেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy