Advertisement
২০ ডিসেম্বর ২০২৪

তৃণমূল নেত্রীর স্বামীর মৃত্যুতে রহস্য

এ দিন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার সচিন মক্কার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  কার্তিক মণ্ডল  সহ পুলিশ আধিকারিকরা। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন তাঁরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ০৫:৩০
Share: Save:

নিজেরই নির্মীয়মাণ বাড়ির দরজার সামনে উত্তর দিনাজপুরে জেলা পরিষদের তৃণমূলের এক সদস্যার স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ইসলামপুরে। নিহতের নাম কৃপাসিন্ধু পোদ্দার (৪০)। তাঁর স্ত্রী মামনি পোদ্দার জেলা পরিষদের সদস্য। কৃপাসিন্ধুর বাড়ি গোয়ালপোখর থানার নন্দঝার এলাকাতে। তবে ইসলামপুরের মিলন পল্লিতে বাড়ি তৈরির কাজ চলছে তাঁর। তবে শহরের মধ্যে খুনের অভিযোগ ওঠায় এলাকার মানুষের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

এ দিন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার সচিন মক্কার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল সহ পুলিশ আধিকারিকরা। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কৃপাসিন্ধুবাবু নিজেও তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন বলে দল সূত্রে দাবি। গ্রাম উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রাব্বানী সহ তৃণমূল কর্মীরা অনেকেই এ দিন ঘটনাস্থলে যান। রাজনৈতিক কারণেই কৃপাসিন্ধুবাবুকে খুন করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন গোয়ালপোখরের বিধায়ক রব্বানিও। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় রাস্তায় খুন করে নিয়ে এখানে এনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব ভাল কর্মী ছিলেন কৃপাসিন্ধু। সেই কারণেই বারবার তাঁর উপর হামলা হয়েছে। বছর খানেক আগে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। তাঁর ভাইয়ের হাত কেটে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশকে বলেছি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে।’’

ইসলামপুর থানার মিলনপল্লি এলাকায় কৃপাসিন্ধুর শ্বশুরবাড়ি। সেই পাড়াতেই বাড়ি করছেন তিনি। তাঁর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, এ দিন রাতে তাঁর স্ত্রী মামনি বাপের বাড়িতেই ছিলেন। দিন কয়েক আগে তাঁর নির্মীয়মাণ বাড়িতে থাকার জন্য খাটও নিয়ে এসেছিলেন কৃপাসিন্ধু। এ দিন রাতে প্রথম সেখানে থাকার জন্য এসেছিলেন কৃপা। সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

সেই রাতে কয়েক জনকে ফোন করেছিলেন তিনি। কৃপাসিন্ধুবাবুর শ্যালক বিনয় সরকার বলেন, ‘‘রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে যখন টের পেলাম শুনলাম দিদির বাড়ির কাছে কারও দেহ পাওয়া গিয়েছে। বুঝতে পারিনি সে আমাদের আপন জন হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘রাতে প্রায় আড়াইটা নাগাদ জামাইবাবু ফোন করেছিল। ঘুমিয়ে পড়ায় ধরতে পারিনি।’’ গোয়ালপোখরের এক বাসিন্দা সাহেরি আলম বলেন, ‘‘শুক্রবার রায়গঞ্জ যাবে বলে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ফোন করেছিলেন তিনি।’’

তবে মামনি বলেন, ‘‘রাত বারোটা নাগাদ একবার ফোনে কথা হয়েছিল। তখনও জানতাম না ইসলামপুরে আসবে। একটা নাগাদ এসে ফোন করেছিল। নিজের বাড়িতে থাকবে বলে জেদ করছিল। তাই আমার বাপের বাড়িতে আসেনি।’’ মামনি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণে শত্রু অনেক বেড়েছে। প্রায় এক বছর আগেও আমার স্বামীকে মারধর করেছিল কিছু লোকজন। রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।’’

পুলিশ সুপার বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট ভাবে বলা সম্ভব নয়। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Mysterious Death TMC Leader Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy