—নিজস্ব চিত্র।
বালুরঘাটে বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হল পুরসভাকে। ৫১২ জাতীয় সড়কের পাশে থাকা সরকারি জায়গা ‘দখল’ করে থাকা বিভিন্ন দোকান ও বাড়িঘর ভাঙার জন্য আগেই নোটিস দিয়েছিল পুরসভা। বুধবার সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। এর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র অভিযানে নামেন। সঙ্গে ছিলেন বালুরঘাট থানার পুলিশ আধিকারিক ও এসডিও সুব্রতকুমার বর্মণকে। মঙ্গলপুর এলাকার বিজেপি মোড়ে থাকা বিজেপির টাউন অফিস ভাঙতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় বাধা দেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। প্রসঙ্গত, বুধবারই চক ভৃগু এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিস বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে পুরসভা।
বিজেপির দাবি, বালুরঘাট মঙ্গলপুর এলাকার হিলি মোর অঞ্চলে পরিচিত নামই হচ্ছে ‘বিজেপি মোড়’। যেখানে দীর্ঘদিন ধরে ৫১২ জাতীয় সড়কের ধারে বিজেপির টাউন পার্টি অফিস রয়েছে। সেখান থেকেই এক সময় জেলার সমস্ত কাজকর্ম পরিচালিত হত। পরে জেলা পার্টি অফিস বালুরঘাট কোর্টের উল্টো দিকে জলযোগ মোড়ের কাছে স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু টাউনের কাজকর্ম পরিচালিত হয় এই পার্টি অফিস থেকেই। বালুরঘাট পুরসভায় গত লোকসভা ভোটে ২৫ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপির সুকান্ত মজুমদারের কাছে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী। আর সেই কারণেই তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা বিজেপির পার্টি অফিস উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভাঙতে এসেছে। বিজেপির দাবি, পুরসভার কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। কোনও প্ল্যানিং ছিল। প্ল্যানিং ছাড়াই পার্টি অফিস ভাঙতে আসায় বাধা দেওয়া হয়েছে। সঠিক প্ল্যান নিয়ে আসলে প্রয়োজনীয় জায়গা ছেড়ে দিয়েই পার্টি অফিস বানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির টাউন সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত।
অন্য দিকে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের দাবি, তিনি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং পিডব্লুডি দুই সংস্থাকেই অনুরোধ করেছেন, তাদের প্রস্তাবিত প্রকল্প সম্বন্ধে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে। তাদের কতটা জমি প্রয়োজন, তার রিপোর্ট তৈরি করে আগামী পর্যালোচনা বৈঠকে জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘উচ্ছেদ আগামী দিনেও চলবে। সরকারি জমি দখলমুক্ত করা হবে যে কোনও মূল্যে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy